২৭ এপ্রিল : বিতর্কিত ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল নানা কারণে আজও বিখ্যাত
২৭ এপ্রিল : বিতর্কিত ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল নানা কারণে আজও বিখ্যাত
১৩ বছর আগের ২৭ এপ্রিল ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে এক অতিমানবিক ইনিংস খেলেছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। একই সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি, আম্পায়ারদের দোটনা সহ একাধিক কারণে অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলঙ্কার সেই বিশ্বকাপ ফাইনাল মনে রেখেছেন ক্রিকেট প্রেমীরা।
বিতর্কিত বিশ্বকাপ
ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০০৭-র ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ সবচেয়ে বিতর্কিত বলে গণ্য করা হয়। টুর্নামেন্ট চলাকালীন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ বব উলমারের রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত। সেই বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছিল পাকিস্তান। ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন লেজেন্ড ইনজামাম-উল-হক। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গিয়েছিল হাই-প্রোফাইল ভারতীয় ক্রিকেট দলও। ফলে কমে গিয়েছিল বিশ্বকাপের জৌলুস।
ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলঙ্কা
ওই বিশ্বকাপের গ্রুপ ও সুপার এইট পর্বের সবকটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ চারের প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল রিকি পন্টিং শিবির। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাও ওই বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বের সাত ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল মাহেলা জয়াবর্ধনের দল।
প্রখম বাধা
ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রথম বাধা হয়ে নেমে এসেছিল বৃষ্টি। ফলে দুই তরফেই ১২ ওভার করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৩৮ ওভারের ওই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭.৩৯-র গড়ে পাহাড়প্রমাণ ২৮১ রান তুলেছিল অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ১০৪ বলে ১৪৯ রানের অতিমানবিক ইনিংস। ১৩টি চার ও ৮টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ওই ইনিংস বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরল। তবে সেদিন ব্যাটিং করা সময় তিনি গ্লাভসের নিচে স্কোয়াশ বল রেখেছিলেন বলে পরে স্বীকার করেছিলেন প্রাক্তন অজি উইকেটরক্ষক।
শ্রীলঙ্কার জবাব
জবাবে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হলেও ফের বৃষ্টি মাহেলা জয়াবর্ধনে শিবিরের কাছ থেকে আরও ২ ওভার কেড়ে নেয়। শ্রীলঙ্কার সামনে ২৬৯ রানের টার্গেট খাড়া করা হয়েছিল। ৩৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের দল। আর তখনই ফের ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছিল। ডার্কওয়াথ-লুইস পদ্ধতিতে ওই ম্যাচ তখনই অস্ট্রেলিয়ার জেতার কথা থাকলেও, ম্যাচ রিজার্ভ ডে-তে টেনে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছিলেন আম্পায়াররা। যদিও পরে দুই দলের অধিনায়কের সম্মতি নিয়েই কার্যত অন্ধকারে বাকি তিন ওভার সম্পন্ন করানো হয়েছিল। ম্যাচ এবং বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।