ইংল্যান্ড সফরে সমালোচিত ক্যাপ্টেন কোহলি, দেখে নিন টেস্ট সিরিজে তাঁর সবচেয়ে খারাপ ৫ সিদ্ধান্ত
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৫ টি খারাপ মুহূর্তের ফটো ফিচার।
ইংল্যান্ডের প্রবাদ প্রতীম প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলি জানিয়েছেন বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব তাঁর ভাল লাগেনি। বিশেষ করে পঞ্চম তথা শেষ টেস্টে যখন ইংল্যান্ড ধীরে ধীরে ম্যাচের দখল নিচ্ছিল তখন বিরাটকে দিশাহারা দেখিয়েছে। ওই সিরিজে কিন্তু বিরাটের অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছেন সুনীল গাভাস্কারের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
১-৪ ফলে হারা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই সিরিজে মাঠে ও মাঠের বাইরে বিরাটের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেখে নেওয়া যাক সেই সিরিজে অধিনায়ক বিরাটের করা সেরকমই পাঁচটি মস্ত বড় ভুল।
প্রথম টেস্টে বাদ চেতেশ্বর পুজারা
য়েস্ট সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট কেলছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। সেখানে তিনি ফর্মে ছিলেন না। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁকে প্রথম টেস্টের প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। কিন্তু সেই টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ১৯৪ রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ৩১ রানে হেরে যায় ভারত। পুদারা থাকলেই যে টেস্ট জিতত ভারত তা নয়, কিন্তু অবশ্যই জেতার সম্ভাবনা বাড়ত, যে কারণে পরের টেস্টেই তাঁকে ফেরানো হয় দলে। দুম করে প্রথম একাদশের ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া একটি কারাপ প্রবণতা।
স্যাম কুরানের বিরুদ্ধে অশ্বিনকে না ব্যবহার করা
দুর্দান্ত ডেলিভারিতে অ্যালিস্টার কুককে তুলে নিয়ে ইংল্যান্ড সফর শুরু করেছিলেন অশ্বিন। শুধু কুকই নন, অশ্বিনকে খেলতে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের সব বাঁহাতিরাই সমস্যায় পড়েছিলেন। অথচ পড়ের দিকে যখন অভিষেককারী স্যাম কুরান ম্যাচের মোড় ঘোরানো ৬৩ রানের ইনিংস খেলছেন তখন অশ্বিনকে হলই দেননি বিরাট। ইংল্যান্ড ৮৭-৭ থেকে ১৮০-তে পৌঁছে যায়।
লর্ডসের চায়নাম্যানের অভিষেক
লর্ডস টেস্টের পরিবেশ ছিল একেবারে আদর্শ ইংল্যান্ডের পরিবেশ যেরকম হয়। অর্থাত সিমারদের পোয়াবারো। কিন্তু অদ্ভুত ভাবনা থেকে সেই ম্য়াচে অশ্বিনের সঙ্গে অভিষেক ঘটানো হয় চায়নাম্যান বোলার কূলদীপ যাদবের। সেই ম্যাচে ইশান্ত শর্মা করেন ২২ ওভার, মহম্মদ শামি ২৩ ওভার, হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৭.১ ওভার। আর স্পিনার জুটির মিলিত অবদান ছিল ২৬ ওভারের।
চতুর্থ টেস্টে আহত অশ্বিনকে খেলানো
তৃতীয় টেস্টেই চোট পেয়েছিলেন অশ্বিন। দলে জাদেজার মতো স্পিনারও মজুত ছিলেন। তা সত্ত্বেও চতুর্থ টেস্টে অশ্বিনকে প্রথম এগারোয় খেলানো হয়। ম্য়াচে কিন্তু বল করার সময় অশ্বিনকে দৃশ্যতই সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছিল। চোটের জন্য তাঁর হিপ মুভমেন্ট ঠিক হচ্ছিল না। ফলে পিচের রাফে সঠিক জায়গায় লাগাতার বল রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
করুণ নায়ারকে বসিয়ে রাখা
পঞ্চম টেস্টে দলের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন ঘটানোর সময় স্কোয়াডে প্রথম থেকে থাকা করুণ নায়ারকে না খেলিয়ে চতুর্থ টেস্টের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া হনুমা বিহারিকে খেলানো হয়। সেই সিদ্ধান্তের জের আজও চলছে। দলের নির্বাচন নিয়ে মুখ খোলায় করুণ নায়ার ও দ্বিতীয় টেস্টের পর বাদ পড়া মুরলী বিজয়কে শোকজ করতে পারে বোর্ড।