চোটের জন্য বাদ হার্দিক, কিন্তু মাছ ধরা থেকে কুকুরের কামড় - অদ্ভূত কারণে খেলতে পারেননি এই ৫ জন
চোটের জন্য পুরো অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই হার্দিক পান্ডিয়া। তবে, বেশ কিছু সময় অদ্ভুত কারণে ক্রিকেটার খেলতে পারেননি।
বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি ভারত। এই সিরিজের ভারতীয় স্কোয়াডে ভারতের বিশ্বকাপের মূল দলের সব খেলোয়াড় থাকলেও চোটের জন্য খেলতে পারবেন না হার্দিক পাণ্ডিয়া। বিসিসিআইৃ-এর মেডিকাল টিম মনে করে তাঁর আরও বিশ্রামের দরকার।
হার্দিকই প্রথম নন, এর আগে অধিনায়ক বিরাট কোহলি থেকে গত কয়েক মাসে ভারতীয় দলের একাধীক ক্রিকেটারকে তরতাজা রাখতে মাঝে মাঝেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বোলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে শুধু ভারতই নয়, বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্ব জুড়েই ক্রিকেটারদের সুস্থ রাখতে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দেওয়াটা একটা কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে এর বাইরেও বিভিন্ন অদ্ভুত কারণে খেলা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। এখানে এরকমই ৫টি ঘটনার কথা আলোচনা করা হল।
মাছ ধরতে গিয়ে
২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরের একদিনের সিরিজ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। সিরিজের মাঝে একদিন টিম মিটিং-কে অবজ্ঞা করে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস মাছ ধরতে চলে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর তাঁকে পত্রপাঠ শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দেশে ফেরত পাঠানো হয়, বাকি সিরিজ খেলা হয়নি।
বোনের বউভাতের জন্য
ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের ম্যাচ খেলা বাদ দিয়ে গিয়েছিলেন বোনের বউভাতের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। সেই সময় তিনি ফর্মেও ছিলেন না। তাই এই নিয়ে তাঁকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
কুকুরের কামড় খেয়ে
২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শেফিল্ডস ট্রফির ম্যাচ কেলতে গিয়ে প্রথমে ম্য়াথু হেডেনের আঙুলের হাড় ভাঙে। কিন্তু তারপরেও তিনি পরের ম্য়াচে খেলেছিলেন। সেই ম্য়াচে একটি রান নেওয়ার সময় একটি কুকুর হগঠাত মাঠে ঢুকে হেডেনের গোড়ালি কামড়ে রক্তারক্তি ঘটিয়ে দেয়। শেফিল্ডস শিল্ডের পরের ম্যাচগুলি আর খেলা হয়নি তাঁর।
স্পন্সসরের চাপে
২০১৭ সালে গুজরাট লায়ন্সের হয়ে আইপিএল-এ অ্য়ারন ফিঞ্জ ওয়াঙ্খেরে-তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি কারণ তাঁর কিট ব্য়াগ এসে পৌঁছায়নি। অন্যের ব্য়াট-গ্লাভস নিয়ে নামতে পারেননি, কারণ তাতে স্পন্সসরদের বাধা ছিল। তাঁকে সেই ম্য়াচে মাঠের বাইরেই কাটাতে হয়।
নেশাগ্রস্ত থাকায়
ফের একবার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ফের একবার সামনে বাংলাদেশ। সালটা ছিল ২০০৫। ম্যাচের আগে সাইমন্ডসকে সম্পূর্ণ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আবিষ্কার করেছিল দল। ফলে তাঁর সেই ম্য়াচে খেলা হয়নি আর অস্ট্রেলিয়াও পরাজিত হয়েছিল।