ধোনি না থাকলে ভারতীয় ক্রিকেটে কোন কোন ঘটনা ঘটতই না, দেখুন তালিকা
ধোনি না থাকলে ভারতীয় ক্রিকেটে কোন কোন ঘটনা ঘটতই না, দেখুন তালিকা
ভারত তথা বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেট অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ৩৯তম জন্মদিন পালনে মেতেছে গোটা দেশ। তার মুখ্য কারণ, ভারতীয় ক্রিকেটকে তিনি যা দিয়েছেন, দিতে পারেননি অন্য কেউ। তাই ধোনি না থাকলে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কোন কোন ঘটনা ঘটতই না, সেদিকে নজর ফেরানো যাক।
ত্রিমুকুট
ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে মহেন্দ্র সিং ধোনির উদয় না হলে হয়তো ত্রিমুকুট থেকে বঞ্চিত হত ভারতীয় ক্রিকেট। ধোনির নেতৃত্বেই ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি ও ২০১১ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ধোনির নেতৃত্বেই জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল।
ফ্যাব ফোরের শূণ্যতা পূরণ
ভারতীয় ক্রিকেটের ফ্যাব ফোর অর্থাৎ সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ অবসর নেওয়ার পর যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল, তা দারুণ দক্ষতায় পূরণ করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পাশাপাশি কিংবদন্তি বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, অনিল কুম্বলে এবং জাহির খানের অভাবও সুনিপুণ ভাবে পূরণ করেছিলেন বিচক্ষণ ধোনি।
দুর্দান্ত ফিল্ডার
দুই দশক আগে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার আগে পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং ততটা উচ্চমানের ছিল বলে মনে পড়ে না। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, অজয় জাদেজা, রবিন সিং, মহম্মদ কাইফ এবং যুবরাজ সিংয়ের বিক্ষিপ্ত প্রচেষ্টায় তবু কিছুটা হলেও সম্বৃদ্ধ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক হওয়ার পর সবার আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের মানসিকতায় বদল ঘটান। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের থেকেও অল-রাউন্ডার এবং দক্ষ ফিল্ডারদের ভিড় বাড়তে থাকে জাতীয় শিবিরে। সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা, বিরাট কোহলিরা ভারতীয় দলের ফিল্ডিং বিভাগকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।
স্পিন জুটির উত্থান
এক সময় ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করেছেন কিংবদন্তি অনিল কুম্বলে এবং হরভজন সিংয়ের স্পিন জুটি। টেস্টে দুই রথির উইকেট সংখ্যা হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁদের পর ভারতীয় ক্রিকেটে তৈরি হওয়া শূন্যতা পূরণ করেছেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। ডান ও বাঁ-হাতের কম্বিনেশন টেস্টে ভারতকে প্রায় ৬০০ উইকেট দিয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি না থাকলে অশ্বিন ও জাদেজার উত্থান অসম্ভব হলেও হতে পারত।
রোহিত শর্মা উত্থান
এমএস ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলে থাকলেও ২০১১ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপজয়ী জাতীয় দলে ছিলেন না রোহিত শর্মা। খারাপ ফর্মের জন্য তাঁকে বাদ পড়তে হয়েছিল। তা বলে হিটম্যানকে পুরোপুরি চোখের আড়াল করার পক্ষপাতি ছিলেন না এমএস। রোহিতকে আরও একবার সুযোগ দেওয়া হয়। আর এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা সীমিত ওভারের ব্যাটসম্যান। একই বিশ্বকাপে পাঁচটি শতরানের রেকর্ড রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়কের ঝুলিতে। ওয়ান ডে-তে তিনটি দ্বিশতরানও রয়েছে হিটম্যানের।
অধিনায়ক বিরাট
২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ভারতীয় দলে ডেকে পাঠিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শুরুর দিকে নড়বড় করা কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দূরদর্শী ধোনি। তাই হয়তো এই প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটার হতে পেরেছেন বিরাট। হয়তো এমএস না থাকলে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কও হতে পারতেন না চিকু।