ফিল হিউজের মৃত্যুর মতো ট্র্যাজেডি ক্রিকেট মাঠে, মৃত্যু দৃষ্টিহীণ শিশুর
নবদ্বীপ ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্র মিরাজুল মল্লিকের মৃত্যু মাথায় বল লেগে।
রমন লম্বা মারা গিয়েছিলেন ক্রিকেট মাঠে খেলার সময় বল লেগে। এরপর ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া-র বিরুদ্ধে মাঠে ফিল্ডিং করার সময় বল লেগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁরও। কলকাতা ময়দানেও ছুঁয়ে গিয়েছিল এইভাবে ক্রিকেটারের মৃত্যুর ঘটনা। মারা গিয়েছিলেন অঙ্কিত কেশরী।
[আরও পড়ুন:ইস্টবেঙ্গল বনাম রঞ্জিত বাজাজ সংঘাত তুঙ্গে, বল গড়ানোর আগে বিতর্কে চরমে]
এবার সেইরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল নদীয়া জেলায়। ক্রিকেট মাঠে ফের বল লেগে মৃত্যু। এবার প্রাণ গেল এক দৃষ্টিহীণ স্কুল ছাত্রের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নবদ্বীপে। নবদ্বীপ ব্লাইন্ড স্কুলের ছাত্র মিরাজুল মল্লিকের শনিবার স্কুলের মাঠে ক্রিকেট অনুশীলন করছিল। সহপাঠীর একটি শট মিরাজুলের মাথার ডানদিকে লাগে। এরপরই মাঠে লুটিয়ে পড়ে বেঙ্গল ব্লাইন্ড দলের ক্রিকেটার মিরাজুল।
তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয় কল্যানী জেএনএম হাসপাতালে। সেখানে শনিবার রাতেই মৃত্যু হয় মিরাজুলের। রবিবার ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের কাছে।
আসলে ক্রিকেট মাঠে এইভাবে বল লাগলে তা কত মারাত্মক হতে পারে তার উদাহরণ বিশ্ব ক্রিকেটেও রয়েছে। সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকা সত্বেও বাঁচানো যায়নি রমন লম্বা, ফিল হিউজের মত ক্রিকেটারদেরও। যেখানে তারা সেরা চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন।
শুধু আন্তর্জাতিক স্তরেই নয়, কলকাতা ময়দানেও ২০১৫ সালে মাথায় বল লেগে ক্রিকেটার অঙ্কিত কেশরীর মৃত্যু হয়েছিল।বাংলার অনুর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে কোচবিহার ট্রফি, অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলের ৩০ জনের সদস্যও ছিলেন তিনি। আবারও ক্রিকেটের মাঠেই মৃত্য়ু নেমে এল।
ক্রিকেট মাঠে ঠিক কী ধরণের নিরাপত্তা থাকলে তবে এই দুর্ঘটনা গুলি আটকানো সম্ভব, তা জানানো হয়েছ। ক্লোজ ইন ফিল্ডারদের হেলমেট পড়ে ফিল্ডিং করার কথা। এইক্ষেত্রেও কী সেই নিয়ম মানা হয়নি সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।