আইসিসি টেস্ট খেলিয়ে দলের মর্যাদা পেল নতুন দুটি দেশ
আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে টেস্ট খেলিয়ে দেশের মর্যাজা দিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি।
আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে টেস্ট খেলিয়ে দেশের মর্যাজা দিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। এর ফলে এখন সবমিলিয়ে টেস্ট খেলিয়ে দেশের সংখ্যা ১০ থেকে বেড়ে ১২তে এসে দাঁড়াল।
দুটি দেশকেই পূর্ণ সময়ের সদস্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লন্ডনে আইসিসি-র বার্ষিক সম্মেলনে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে এখন পাঁচ দিনের টেস্ট খেলতে আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের কোনও সমস্যা রইল না।
এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশকে টেস্ট খেলিয়ে দেশের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে ও বাংলাদেশের পাশাপাশি এই দুটি দেশেও টেস্টের আসর বসবে।
আইরিশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ওয়ারেন ডিউট্রম জানান, টেস্ট ক্রিকেট অন্য জিনিস। আমরা সকলেই এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পটারফিল্ড জানিয়েছেন, আইরিশ ক্রিকেটের জন্য এটা দারুণ খবর। আমরা বিশ্বকাপে খেলেছি। ও কিছু স্মরণীয় জয় পেয়েছি। তবে টেস্ট খেলা অন্যরকম অনুভূতি।
এদিকে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে সিইও শফিক স্ট্যানিকজাই জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের মতো দেশের জন্য এটা বিশাল বড় স্বীকৃতি। সারা দেশ এর জন্য উৎসবে মেতেছে।
আফগান দলের অধিনায়ক মহম্মদ নবি বলেছেন, শেষপর্যন্ত আমাদের কঠিন লড়াই মর্যাদা পেল। আইসিসি-র পূর্ণ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন পূর্ণ হল। এমন সময়ে আবেগ সামলে রাখা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
গত ২০০ বছর ধরে আয়ারল্যান্ডে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। অথচ ১৯৬৯ সালের আগে তা প্রচারে আসেনি। সেবছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে মাত্র ২৫ রানে অলআউট করে দেয় আইরিশরা। এরপরে নানা উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে আজ এই জায়গায় আইরিশ ক্রিকেট। পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও প্রতিবেশী ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে আইরিশরা।
এদিকে আফগানিস্তানের ক্রিকেট খেলা শুরু একেবারে অন্যভাবে। ১৯৮০ ও ৯০ এর দশকে সোভিয়েত রাশিয়ার ভয়ে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে কিছু মানুষ আফগানিস্তান যান। তাদের হাত ধরেই ক্রিকেট ডালপালা মেলে কাবুলিওয়ালার দেশে।