তখন হয়তো কারও মনে ছিল না আফ্রিদি এখনও ক্রিজে রয়েছেন...
তখন হয়তো সবাই ভুলে গিয়েছিলেন ক্রিজের আর এক প্রান্তে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা হাকিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের সীমান্তে পৌছে দিয়ে অন্তত সেটাই জানিয়ে গেলেন আফ্রিদি। স্নায়ুযুদ্ধে আফ্রিদির কাছে মাথা নোয়ালো মেন ইন ব্লু-রা।
ভারতচ-পাকিস্তান ম্যাচ কী আর যে-সে কথা, উত্তেজনা স্নায়ুযুদ্ধ থাকবে না তা কি হয়। ২৪৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রূদ্ধশ্বাস ইনিংস৷ আফ্রিদির ব্যাট থেকে এল জোড়া চার, তিনটে বিশাল ছক্কা৷ ১৮ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে এদিন হিরো আফ্রিদিই। এর আগে ওপেনার শেহজাদের ৪২ আর শার্জিলের ২৫ রানে ভর করে ভাল শুরু করে পাকিস্তান৷ তিন নম্বরে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে যান অভিজ্ঞ হাফিজ৷ এরপর অধিনায়ক মিসবা, আকমলদের ব্যর্থতা ঢেকে লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে রোমাঞ্চকর ফিনিশিং আফ্রিদির৷
ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন অশ্বিন। জোড়া উইকেট তোলেন মিশ্র এবং ভুবনেশ্বর৷ কিন্তু শেষদিকে পরপর উইকেট তুলেও ম্যাচ পকেটে পুরতে পারল না ভারত। দুপুরে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান পাক অধিনায়ক মিসবা-উল-হক।
স্লগ ওভারে রানের গতি বাড়িয়েছিলেন জাডেজা-রাইডুদের লোয়ার মিডল অর্ডার৷ রবীন্দ্র জাডেজা ৪৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন৷ দলকে ২০০-র গণ্ডি পার করিয়ে অম্বাতি রাইডু ৫৮ রানে আউট হন৷ ধাওয়ান, কোহলি, রাহানেরা রান পাননি৷ ওপেনার রোহিত ৫৬ রানে ফেরার পর খেই হারিয়ে ফেলে ভারত৷ তিন উইকেট তুলে পাক বোলিংয়ে উজ্জ্বল সৈয়দ আজমল৷ জোড়া উইকেট পান তালহা এবং হাফিজ৷ ৮ উইকেটে ২৪৫ রানেই আটকে যায় ভারত৷