'তিনিই সর্বকালের সেরা ফিনিশার', আরসিবিকে ধূলিস্যাত করে ফের বোঝালেন ধোনি
২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালের সঙ্গে এই জয়ের তুলনা হয় না ঠিকই। তবে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে সেই তুলনা টেনে আনলেন খোদ মহেন্দ্র সিং ধোনি।
২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালের সঙ্গে এই জয়ের তুলনা হয় না ঠিকই। তবে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে সেই তুলনা টেনে আনলেন খোদ মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ম্যাচে পারেননি। ১৯৭ রান তাড়া করতে নেমে ৪ রান দূরে থামতে হয়েছিল। তবে এদিন সেই ভুল আর করেননি। ২০৫ রান তাড়া করতে নেমে দুই বল বাকী থাকতেই চেন্নাই সুপার কিংসকে হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন ধোনি।
আরসিবি এদিন করেছিল ২০৫ রান। টি২০-তে দুশো রান রোজ রোজ তাড়া করা যায় না। চিন্নাস্বামী ব্যাটিং পিচে অপেক্ষাকৃত রান তাড়া করা সহজ হলেও পরপর উইকেট পড়ে একসময়ে চেন্নাইয়ের হার প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কারণ ততক্ষণে সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন শ্যেন ওয়াটসন, সুরেশ রায়না, স্যাম বিলিংস ও রবীন্দ্র জাদেজা। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন শুধুমাত্র ধোনি ও ডোয়েন ব্র্যাভো।
চেন্নাই ইনিংসে প্রথম ৯ ওভারে বোর্ডে তখন মাত্র ৭৪ রান উঠেছে। ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় ব্যাট করতে নামেন ধোনি। শেষ ১১ ওভারে করতে হবে ১৩২ রান। এটাই ছিল টার্গেট। সেখান থেকে অম্বাতি (৫৩ বলে ৮২ রান) রায়াডুকে সঙ্গে নিয়ে ধোনি ইনিংস টানেন।
শেষ চার ওভারে করতে হতো ৫৬ রান। ওভার প্রতি সাড়ে ১৩ রান। সেটাও ২ বল বাকী থাকতে করে ফেললেন মাহি। রায়াডু ৮টি ছক্কা হাঁকান। এদিকে ধোনি মারলেন ৭টি ছয়। শেষেরটা হাঁকিয়ে একেবারে চেনা মেজাজে দলকে জিতিয়ে আনলেন তিনি। একইসঙ্গে ফের একবার প্রমাণ করলেন, বিশ্ব ক্রিকেটে তার চেয়ে বড় ফিনিশার আর কেউ নেই, সম্ভবত আসবেও না।