ইংল্যান্ডের হিরো বেন স্টোকস, ম্যান অফ দ্য ফাইনাল
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ইংল্যান্ড দলের যে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিপুল আলোচনা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন না তিনি।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ইংল্যান্ড দলের যে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিপুল আলোচনা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন না তিনি। কিন্তু তিনিই যে দলের ক্রাইসিস ম্য়ানেজার, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ কার্যত একার কাঁধে জিতিয়ে তা স্বগর্বে প্রমাণ করলেন অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস। ম্যান অফ দ্য ফাইনালের নজিরে চোখ বোলানো যাক।
বিশ্বকাপে বেন স্টোকস
রিয়েল ক্রাইসিস ম্যানেজার বেন স্টোকস দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচেই কেরামতি দেখান। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৭৯ বলে ৮৯ রান করেন স্টোকস। বল হাতে নেন ২ উইকেট। এমনকী আউট ফিল্ডে বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচও নেন ইংল্যান্ডের অল-রাউন্ডার। লিগ পর্যায়ে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৮২, ৮৯ এবং ৭৯ রান করা বেন স্টোকস ফাইনাল সহ এই বিশ্বকাপে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেন। সংগ্রহ করেন ৪৬৮ রান। টুর্নামেন্টে ৭টি উইকেটও নিয়েছেন ইংরেজ অল-রাউন্ডার।
১৪ জুলাই ২০১৯
দিনটা আজীবন মনে রাখবেন বেন স্টোকস। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনালে বল হাতে বিশেষ কারিকুরি দেখাতে না পারলেও ব্যাট হাতে যখন লর্ডসের ক্রিজে নামেন, সেই সময় ৭১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ইংল্যান্ড। ৮৬ রানের মাথায় অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকেও হারান স্টোকস। ঠিক সেখান থেকেই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জোস বাটলারের (৫৯) সঙ্গে ১১০ পার্টনারশিপ করে ইংল্যান্ডকে জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেন স্টোকস। ৮৪ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ টাই করান ইংল্যান্ডের অল রাউন্ডার। ম্যাচের সুপার ওভারেও একটি চার মারেন বেন স্টোকস।
হতাশা এবং ফিরে আসা
ঐতিহাসিক লর্ডসে চির শত্রু অস্ট্রেলিয়ার কাছে লিগের ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেও ইংল্যান্ডকে জেতাতে না পেরে হতাশ হয়েছিলেন বেন স্টোকস। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে ফিরে এসে বিশ্বকাপ জেতার পিছনেও নায়ক কিন্তু সেই স্টোকসই।
কিউই বনাম কিউই
১৯৯১ সালে বেন স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডের খ্রাইশচার্চে। কিন্তু কিশোর বয়সেই পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে চলে আসেন বেন। সেই থেকে তিনি ইংরেজ নাগরিক। তাই ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল একদিকে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে হলেও ম্যাচে কিউই বনাম কিউই-র লড়াইও কিন্তু বেশ জমে ওঠে।