ভারতের আঁচলে -র নজির, কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ
ইতিহাসে ঢুকে পড়লেন মানালির বাসিন্দা আঁচল ঠাকুর।
ইতিহাসে ঢুকে পড়লেন মানালির বাসিন্দা আঁচল ঠাকুর। মঙ্গলবার দেশের হয়ে নজির গড়লেন এই তরুণী। ২১ বছরের আঁচল স্কিয়িং-এ দেশের হয় প্রথম আন্তর্জাতিক পদক এনে দিলেন।
[আরও পড়ুন:'রেগে আগুন তেলে বেগুন তেড়ে বলেন তিনি' - ইমরানের জোরালো তোপে চমকে যাবেন ]
আন্তর্জাতিক স্কি ফেডারেশন আয়োজিত আলপাইন এডার ৩২০০ কাপে ব্রোঞ্জ জিতেছেন আঁচল। তুরস্কের পালনদোকেন স্কি সেন্টারে এই সম্মান অর্জন করেছেন মানালি। স্লালোম রেস ক্যাটাগরিতে এই পদক জিতেছেন তিনি।
আঁচল জানিয়েছেন বহু দিনের অধ্যাবসায় ফল দিয়েছে। আঁচল জানিয়েছেন শুরুটা ভালোই করেছিলেন যা তাঁকে লিড পেতে সাহায্য করেছিল। শুরুর ওই ভালো পারফরম্যান্সটাই শেষ অবধি তাঁকে ব্রোঞ্জ পদক জিততে সাহায্য করেছিল। ভারতে শীতকালীন খেলার কোনও অবকাশ নেই। পাশাপাশি কোনও সুযোগ সুবিধাও নেই এই খেলাগুলি খেলার। এমনকি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের থেকে কোনওরকম সহায়তাও তিনি পাননি।
এদিকে আঁচলের বাবা রোশন ঠাকুর আবার উইন্টার গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সচিব ,তিনি জানিয়েছেন বাবা হিসেবে এবং একটি সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী হিসেবে তিনি দারুণ খুশি নিজের মেয়ের পারফরম্যান্সে। আঁচলে-র বাবা এও জানিয়েছেন হোয়াটস অ্যাপে আঁচল যখন ফোন করে তাঁকে পদকটি দেখায় তখন তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি যে এটা পদক তিনি ভেবেছিলেন আয়োজকরা কোনও সুভ্যেনির দিয়েছে। কিন্তু পরে মেয়ের কথায় বুঝতে পারেন তাঁর মেয়ে পদকটি পেয়েছে।
প্রচন্ড খরচসাপেক্ষ এই খেলায় আঁচলের পারফরম্যান্সের পর ২০১৮ উইন্টার অলিম্পিক্সে ভারতের প্রতিনিধি পাঠাতে সাহায্য করতে পারে। মানালির একটি ছোট গ্রামের বাসিন্দা আঁচল সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে বাবার হাত ধরেই এই খেলায় আসা। পরবর্তী পর্যায়ে প্রাক্তন অলিম্পিয়ান হীরা লালের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি।