বিসিসিআই-এর ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি, কোনও নিয়মই ভাঙেননি অনুস্কা
বিরাটের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কোনও নিয়মই ভাঙেননি অনুস্কা।
বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে কোনও রকম বিতর্কিত কিছু ঘটলে তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অকারণে দল থেকে বাদ পড়া হোক বা তাঁকে বিনা কারণে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। গৌতম গম্ভীরের পারফরম্যান্স থাকা স্বত্ত্বেও তাঁকে দলে সুযোগ না দেওয়ার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা প্রকৃত কারণকেও কখনও তুলে ধরেনি বোর্ড। এতে বোর্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে, সেই ভয় তো রয়েছেই।
কিন্তু কোনও বিতর্কের আঁচ যখন নিজেদের গায়ে এসে পড়ে, তখন তাকে ধামাচাপা দিতে একাধিক যুক্তি তৈরি করা হয়ে থাকে। আর সেই প্রচেষ্টাই ফের একবার শুরু করল বোর্ডের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আধিকারীক।
লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের আমন্ত্রণে গোটা টিম ইন্ডিয়া উপস্থিত হয়েছিল গোটা টিম ইিন্ডিয়া। ছিল ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত কোচিং স্টাফেরাও। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী অনুস্কা শর্মা। বিরাটের স্ত্রী হিসেবে ছিলেন তিনি।
বিসিসিআইয়ের টুইট করা একটি ছবিতে সামনের দিকে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনুস্কা। বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে সেই টুইটে লেখা হয় 'টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে।'
কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা বিষয়টা একেবারেই ভাল ভাবে মেনে নেননি। সোশ্যাল বিসিসিআই-এর তুলোধনা করেন তাঁরা। অনুস্কা শর্মা টিম ইন্ডিয়ার সদস্য কী ভাবে হল সেই নিয়েই তাঁদের প্রশ্ন। কেউ কেউ মজা করে জানতে চান দলে কোন পজিশনে খেলেন অনুস্কা? ব্যাটনম্যান, বোলার নাকি উইকেটরক্ষক।
এর পরই ড্যামেজ কন্ট্রোটে নেমে পরে বিসিসিআই। বিসিসিআই-এর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, কোনও নিয়মই ভাঙেননি বিরাটরা। কারণ পরিবারের সঙ্গে ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। সূত্রের খবর, 'হাইকমিশনার এবং তাঁর স্ত্রীর নিমন্ত্রণের কারণেই অনুস্কা শর্মা গিয়েছিলেন। এটা হাইকমিশননারের বাড়িতে ছিল, হাই কমিশনে নয়।'