২০১১-য় ধোনিদের বিশ্বজয়ে প্রশ্ন তুললেন শ্রীলঙ্কার এই প্রাক্তন ক্রিকেটার, সরকারকে দিলেন কড়া চিঠি
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা।
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন। সেবছর ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত ফাইনাল জিতেছিল। সেই ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে বলে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যে দলে রয়েছেন রণতুঙ্গাও।[আরও পড়ুন:ভারতীয় ক্রিকেটের জয়-বীরু নাকি শাস্ত্রী -কোহলি, জুটিতেই নেবেন সিনিয়র হঠানোর সিদ্ধান্ত]
এদিন শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রণতুঙ্গা। তিনি জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের ওয়াড়খেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেটে হারে তিনি স্তম্ভিত। রণতুঙ্গা বলেছেন, সেইসময়ে আমিও কমেন্ট্রির কাজে ভারতে ছিলাম। হারার পরে আমি ভেঙে পড়ি, তবে মনে প্রশ্নও জেগেছিল। আমাদের উচিত কেন ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে গেল তা অনুসন্ধান করে দেখা।[আরও পড়ুন:হেলিকপ্টার শটের মালিক ধোনি কী করলেন জানলে চমকে যাবেন]
আমি এখনই সবকিছু জানাতে পারব না। তবে কোনও একদিন সবটা জানাব। এই বলে তদন্তের দাবি করেছেন রণতুঙ্গা। আর এর ফলেই প্রশ্ন জাগছে। যদি কিছু জানতেন তা সন্দেহ হয়ে থাকে তাহলে এতদিন কেন মুখ খোলেননি শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক?
সেবছর ফাইনালে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৭৪-৬ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সচিন তেন্ডুলকরের উইকেট হারালেও গৌতম গম্ভীর ও মহেন্দ্র সিং ধোনির অনবদ্য ব্যাটসম্যানশিপে সহজেই ম্যাচ জেতে ভারত।
ফাইনালে ভারত ভালো ব্যাটিং করলেও জঘন্য বোলিং-ফিল্ডিং করে শ্রীলঙ্কা। আর সম্ভবত সেই থেকেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। ম্যাচ হারার পর সিংহলী সংবাদমাধ্যম সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। ম্যাচ সহজে ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠেছিল। সেই নিয়েই এতদিন পরে সেদেশের রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমসিংহের কাছে চিঠি লিখেছেন।
বর্তমানে বড় নামগুলি সরে যাওয়ার পরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট প্রতিভার অভাবে টালমাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। সম্প্রতি জিম্বাবোয়ের কাছে ঘরের মাটিতে ২-৩ ব্যবধানে সিরিজ হারে শ্রীলঙ্কা। তারপরই অধিনায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাঞ্জলো ম্যাথিউজ। তার মধ্যেই রণতুঙ্গা ম্য়াচ গড়াপেটা নিয়ে যেভাবে বোমা ফাটালেন তাতে আরও বড় বিতর্ক বাঁধল বলে।