এশিয়া কাপ ২০১৮, পরিকল্পনামাফিক ব্যাটিং, লড়ার মতো রান তুলল পাকিস্তান
এশিয়া কাপ ২০১৮ সুপার ফোরের ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৭ ইউকেট হারিয়ে ২৩৭ রান তুলল।
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান তুলল পাকিস্তান। ইনিংস গড়ায় মুখ্য ভূমিকা নিলেন সেই শোয়েব মালিক (৯০ বলে ৭৮)। এছাড়া অনেক দিন পর পাক অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল দায়িত্বশীল ইনিংস (৬৬ বলে ৪৪)। আগের দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলেন না ভারতীয় বোলাররা।
এদিনও
অবশ্য
ব্যর্থ
হয়
পাক
ওপেনার
জুটি।
৮
ওভারের
মাথায়
চাহালের
বলে
২০
বলে
১০
রান
করেই
এলবিডব্লু
হয়ে
যান
ইমাম
উল
হক।
ফখর
জামান
(৪৪
বলে
৩১)
চেষ্টা
করলেও
তিনিও
বেশিক্ষণ
টিকতে
পারেননি।
জামান
অবশ্য
আউট
ছিলেন
না।
কূলদীপ
যাদবের
একটি
বল
খেলতে
গিয়ে
তিনি
পা
পিছলে
পড়ে
যান।
বল
তাঁর
গ্লাভসে
লেগে
প্যাডে
লাগলেও
আম্পায়ার
আউট
দিয়ে
দেন।
রিভিউ
নিতে
দোনোমোনো
করায়
রিভিউ
নেওয়ার
সময়ও
চলে
যায়।
এরপরই ফের প্যানিক মোডে চলে যায় পাকিস্তান। বাবর আজমও (২৫ বলে ৯)-ও অল্পরানে রানআউট হয়ে যান। তারপরই হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ সরফরাজ আহমেদ ও শোয়েব মালিক। ১৬ ওভারে ৫৮-৩ থেকে রানটা তাঁরা ৩৯ ওভারে ১৬৫ অবধি টেনে নিয়ে যান। এরপরই আউট হন পাক অধিনায়ক। জুটিকে ভাঙেন কূলদীপ।
তারপর নেমেছিলেন পাকিস্তানের বিগ হিটার আসিফ আলি। তিনি নেমেই বড় শট নিতে শুরু করেন। কিন্তু এই সময়ই ভারত অধিনায়ক আক্রমণে ফেরান বুমরাকে। এদিন অসাধারণ বল করেছেন তিনি। শুরুতে উইকেট নিতে না পারলেও আক্রমণে ফিরেই দুর্দান্ত একটি ডেলিভারিতে শোয়েব মালিককে ফেরান তিনি। তারপর শাদাব খানের উইকেটও নেন বুমরা। সব মিলিয়ে ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তোলেন তিনি।
আসিফ আলিকে ফেরান যুজবেন্দ্র চাহাল (৪৬-২)। তার আগে তিনি ২১ বলে ৩০ রান জুড়ে যান। এদিন কূলদীপও ভাল বল করেন তিনি ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। তবে আগের ম্যাচের বোলিংয়ের দুই নায়ক ভূবনেশ্বর (৪৬-০) ও জাদেজা (৫০-০) এদিন বিশেষ প্রভাবিত করতে পারেননি। পারেননি কেদার যাদবও। ৩ ওভারে ২০ রান দেন তিনি। কোনও উইকেট তুলতে পারেননি।
ভারতীয় ব্যাটিংয়ের যা শক্তি তাতে এই লক্ষ্যটা তাদের সামনে বড় হওয়ার কথা নয়। তবে টুর্নামেন্টে এখনও অবধি একদিনই ভারতীয় লোয়ার মিডল অর্ডারকে ব্যাট করতে হয়েছিল। হংকংয়ের বিরুদ্ধে কিন্তু তারা পাস মার্ক পাননি। কাজেই দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা গড়াতে পারে রোমাঞ্চকর দিকে।