তল পাচ্ছেন না মহম্মদ শামি, এবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ বোর্ডের
মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দিল বিসিসিআই। আরও খারাপ পরিস্থিতিতে তিনি।
মহম্মদ শামি কোথায় যাবেন কী করবেন তার কোনও দিশা নেই। হাসিন জাহানের একের পর এক অভিযোগ। পাননি বোর্ডের চুক্তিও। এবার পড়লেন আরও বিপাকে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের তদন্ত শুরু করল।
সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ করা কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটর অর্থাৎ সিওএ দায়িত্ব দিয়েছে বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিট বা দুর্নীতি দমন শাখাকে। আসলে শামির স্ত্রী হাসিন জাহান অভিযোগ করেছিলেন পাকিস্তানি মহিলাদের থেকে কেন টাকা পান শামি। তিনি বিসিসিআইকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন।
এই বিষয়ে সকলকেই জানানো হয়েছে। একটি মেল পাঠানো হয়েছে বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরি, সিওএ প্রধান বিনোদ রাই সকলকেই। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান নীরজ কুমারকে এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে শামির বিরুদ্ধে যে একের পর এক রিপোর্ট উঠে আসছে তার নিষ্পত্তি করতেই এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসিন জাহান শামির সঙ্গে কথা বলার যে টেপ বাজারে ছেড়েছেন সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তাতে আলিশবা নামের এক মহিলা যিনি মহম্মদ ভাইয়ের টাকা দুবাইতে শামির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। শামির স্ত্রী-র দাবি অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই টাকা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শামির দাবি ছিল ইংল্যান্ডের মহম্মদ ভাইয়ের থেকে প্রাপ্য টাকা তাঁকে কুরিয়র হিসেবে পৌঁছে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি আলিশবা।
বিনোদ রাই লিখেছেন, 'যা অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হোক, তারপর দুর্নীতি দমন শাখা যে খুঁজে পাবে তা যেন বিসিসিআইকে জানানো হয়। শামির বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তার কতটা কী তা তদন্ত করে দেখুক দুর্নীতি দমন শাখা।
শুধু এটুকুই নয় এই মহম্মদ ভাই, আলিশবা এঁরা কারা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিনোদ রাই। কেন তাঁরা শামিকে টাকা দিয়েছিলেন তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে হাসিনার সঙ্গে যে গণ্ডগোল হক না , তার জন্য কেরিয়ার দিয়ে খেসারত দিচ্ছেন মহম্মদ শামি।