৭ বছরের সাজার মুখে বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর!
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে শপথভঙ্গ ও আদালতে মিথ্যা বচনের অভিযোগ উঠেছে। আদালতকে বিভ্রান্ত করে ভুলপথে চালিত করার অভিযোগে তাঁর সাত বছরের জেল হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর : ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে শপথভঙ্গ ও আদালতে মিথ্যা বচনের অভিযোগ উঠেছে। আদালতকে বিভ্রান্ত করে ভুলপথে চালিত করার অভিযোগে তাঁর সাত বছরের জেল হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফেই এইকথা জানানো হয়েছে।
অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যা পরিস্থিতি তাতে জেলে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও গতি নাও হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর, এএম খানউইলকর ও ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে কীভাবে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করতে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির কাছে বোর্ডের পক্ষে চিঠি দাবি করেছেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে আদালত অবমাননা ও শপথভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছেন অনুরাগ। যদি আদালত এইমর্মে তাঁর সাজা ঘোষণা করে তাহলে বিসিসিআই সভাপতিকে সরাসরি জেলে যেতে হবে।
ঘটনা হল, বোর্ডের সংস্কার নিয়ে বিতর্কে লোধা কমিটির সুপারিশ মানা নিয়ে বহুদিন হল বিতর্ক চলছে। সুপ্রিম কোর্ট লোধা কমিটির সমস্ত নির্দেশ মানতে নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। এই অবস্থায় অনুরাগ ঠাকুর আইসিসিকে দিয়ে বোর্ডের পক্ষে চিঠি লিখিয়ে নিতে চাপ দেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সরকারি সদস্য নিয়োগ হলে তা বোর্ডের স্বাধীকারে হস্তক্ষেপ হবে। সেক্ষেত্রে আইসিসির অনুমোদন ভারতীয় বোর্ড হারাতে পারে। এমন কথা চিঠিতে লিখিয়ে নিতে আইসিসি চেয়ারম্যান ডেভ রিচার্ডসনের উপরে চাপ দেন অনুরাগ। একথা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।
ফলে আদালতকে ভুল পথে পরিচালনা, মিথ্যা পরিবেশন ও শপথভঙ্গের অভিযোগে আদালত যদি অনুরাগ ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করে তাহলে তিনি সভাপতি তো থাকবেনই না উল্টে জেলের ফাঁড়াও এড়াতে পারবেন কিনা সেটাই এখন দেখার। আগামী ৩ জানুয়ারি এই নিয়ে রায় ঘোষণা করার কথা সর্বোচ্চ আদালতের।