বিসিসিআই-এর অনন্য সম্মান পঙ্কজ রায়কে, বোর্ডের বিপক্ষে গিয়ে পুরস্কার অস্বীকার এডুলজির
পঙ্কজ রায়কে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের। পঙ্কজের পাশাপাশি অংশুমান গায়েকোড, ডায়না এডুলজিকেও এই সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
অবশেষে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার(বিসিসিআই) এর তরফ থেকে সম্মান পেতে চলেছেন পঙ্কজ রায়। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি তাঁর অবদানকে মাথায় রেখে তাঁকে সিকে নায়ডু লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করবে বিসিসিআই।
১৯৫৬ সালের জানুয়ারী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাদ্রাস টেস্টে বিনু মাঁকড়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক ৪১৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন বাংলার এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ এবং নিল ম্যাকেঞ্জি এই রেকর্ড ভাঙেন।
ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি ছয় বছর জাতীয় নির্বাচকেরও দায়িত্ব সামলেছিলেন পঙ্কজ রায়। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ এবং ১৯৮২ থেকে ৮৪ এবং ১৯৮৬-১৯৮৭ জাতীয় নির্বাচক কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান এই প্রবাদপ্রতীম ক্রিকেটার। বিসিসিআইয়ের কার্যনির্বাহী সভাপতি সি কে খান্না, ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরি, এন রাম এবং সাবা করিম এক সঙ্গে বৈঠকে বসে ঠিক করেন কাদের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেবে বোর্ড।
ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় পঙ্কজ রায়কে এই সম্মান দেওয়া হবে(২০১৬-১৭)। পাশাপাশি এই একই সম্মানের জন্য বাছা হয় অংশুমান গায়কোয়াড(২০১৭-১৮), ডায়না এডুলজি(২০১৬-১৭) এবং সুধা সাহাকে(২০১৭-১৮)। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের পুরস্কার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা।
ওই
কমিটিই
বিশেষ
পুরস্কারের
জন্য
মনোনীত
করেছে
নরেন
তামহানে
এবং
আব্বাস
আলি(২০১৬-১৭)
এবং
বুধি
কুন্দ্রানকে(২০১৭-১৮)।
এর
পুরস্কার
মূল্য
১৫
লক্ষ
টাকা।
বিসিসিআইয়ের
কার্যনির্বাহী
সভাপতি
সিকে
খান্না
বলেন,
'ভারত
বনাম
আফগানিস্তানের
ঐতিহাসিক
টেস্টের
সময়
জুন
মাসে
বেঙ্গালুরুতে
এই
পুরস্কার
বিতরনী
অনুষ্ঠান
হবে।'
১৯৫১ থেকে ১৯৬০-এর মধ্যে ভারতের হয়ে মোট ৪৩টি টেস্ট খেলেন পঙ্কজ রায়। ৪৩ ম্যাচে তিনি করেন ২৪২২ রান। যার মধ্যে ২২২০ রান ওপেনার হিসেবে করেন তিনি এবং ২২২ রান করেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে। ৬৫ বছরের অংশুমান গায়েকোয়াড ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট খেলেন। পাশাপাশি ১৫টি আন্তর্জাতিক এক দিনের ম্যাচও খেলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জাতী নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন গায়েকোয়াড। ১৯৯৭ এর অক্টোবর থেকে ১৯৯৯ এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং ১৯৯৯-২০০০ পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য ভাবে বোর্ডের থেকে পাওয়া এই সম্মান নেওয়ার বিষয় নাকচ করেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস(সিওএ)-এর সদস্য এবং ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ডায়না এডুলজি। তিনি বলেন, 'আমি জানতে পেরেছি যে বিসিসিআই-এর নিজস্ব তৈরি কমিটি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে আমাকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্য়াওয়ার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কিন্তু ওই বৈঠকে না আমি বা সিওএ-এর কোনও সদস্য উপস্থিত ছিল না। যাইহোক, সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত কমিটির মেম্বার হিসেবে আমি মনে করি না বোর্ডের থেকে এই পুরস্কার নেওয়া আমার উচিৎ। আমি আমার পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরাও আমার সিদ্ধান্তে খুশি। তাঁরাও মনে করেন সিওএ এর দায়িত্বে থাকাকালীন আমার এই পুরস্কার নেওয়া উচিৎ নয়। তবে আমাকে এই পুরস্কারের যোগ্য বাছার জন্য আমি বিসিসিআইয়ের অ্যাওয়ার্ড কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই।'