জুনিয়র দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে কত পেলেন দ্রাবিড়, জানাল বিসিসিআই
অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দল দেশে ফিরল, দ্রাবিড় কত পেলেন জানেন কী।
দিন দুয়েক আগেই অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় পুরস্কার মূল্যের বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন, তিনি দাবি করেছিলেন , তাঁদের ও সাপোর্ট স্টাফদের একই পরিকাঠামোয় পুরস্কার দেওয়া হলে ভালো হত।
[আরও পড়ুন:আইপিএলের বল গড়ানোর আগেই ধুন্ধুমার, সম্প্রচার সময় নিয়ে এককাট্টা ফ্রাঞ্চাইজিরা ]
এরপরই জানুয়ারি মাসে বিসিসিআই নিজেদের খরচের খতিয়ান দিয়ে দেখিয়ে দিল রাহুল দ্রাবিড় ঠিক কত টাকা পেয়েছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে জুনিয়র দলের কোচিং সামলানোর জন্য। রাহুল দ্রাবিড় পেয়েছেন ২.৪৩ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে ৩১ ডিসেম্বর অবধি ছ মাসে এই টাকা পেয়েছেন দ্রাবিড়।
তবে শুধু দ্রাবিড়ের বেতন বরাদ্দই যে তাতে দেখানো হয়েছে তা নয় বাকি বেশ কিছু কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যক্তি ও ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামোও প্রকাশ করা হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলিং কোচ পরশ মামরেকে গত বছরের অগাস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ২৭ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। এছা়ড়া আশিস নেহরা ৬০ লক্ষ টাকা, ম্যাচ ফি ও রিটেনারশিপ ফি হিসেবে অজিঙ্ক রাহানে ১.৪৭ কোটি টাকা, হার্দিক পাণ্ড্যকে ১.২৭ কোটি টাকা, কুলদীপ যাদবকে ১.০৮ কোটি টাকা, ঋদ্ধিমান সাহাকে ৫৭.৮১ লক্ষ টাকা এবং অভিনব মুকুন্দকে ৩৩.৬৯ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
গত দুই মরসুম ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের কোচ হিসেবে কাজ করা দিল্লির প্রাক্তন ক্রিকেটার মিঠুন মিনহাসকে দেওয়া হয়েছে ৭৫.৬০ লক্ষ টাকা। প্রাক্তন ক্রিকেটার গগন খোডা এখন আর জাতীয় দলের নির্বাচকের পদে না থাকলেও, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পদে থাকার সুবাদে ৫৪ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করে সঞ্জয় মঞ্জরেকর ও মুরলী কার্তিক যথাক্রমে ৩৬.২৮ লক্ষ টাকা এবং ৩০.৬১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
এছাড়াও বিসিসিআই ডিসেম্বর মাসে যেসব ইকুয়িপমেন্ট কেনার জন্য ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করেছেন তারও পরিসংখ্যান দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে হকআই টেকনোলজি থেকে স্পাইডার ক্যাম সবই কিনেছে বিসিসিআই।