চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৭ : ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে অজানা তথ্য একনজরে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে এজবাস্টনে সম্মুখ সমরে নামছে ভারত-পাকিস্তান। দুই দলের খেলোয়াড়রাই হাই-ভোল্টেজ এই ম্যাচের জন্য তৈরি হয়ে রয়েছেন।
রবিবার ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে এজবাস্টনে সম্মুখ সমরে নামছে ভারত-পাকিস্তান। দুই দলের খেলোয়াড়রাই হাই-ভোল্টেজ এই ম্যাচের জন্য তৈরি হয়ে রয়েছেন। এজবাস্টনে ম্যাচের সমস্ত টিকিট বহুদিন আগেই নিঃশেষিত। শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার। এই টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বেশ কয়েকটি অজানা তথ্য একনজরে জেনে নেওয়া যাক।
প্রথম তথ্য
এই নিয়ে চতুর্থবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। এর আগে মোট তিনবার দুটি দেশ মুখোমুখি খেলতে নেমেছিল। পাকিস্তান ২টিতে জয় পেয়েছে। ভারত জিতেছে ১টিতে।
দ্বিতীয় তথ্য
শোয়েব মালিক একমাত্র খেলোয়াড় যিনি এর আগের তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছেন। এবং এবারও খেলবেন। এছাড়া রেকর্ড বার মোট ৬টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামতে চলেছেন শোয়েব মালিক। এর আগে ২০০২, ২০০৪, ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন তিনি।
তৃতীয় তথ্য
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান দুই দলের মধ্যে একমাত্র খেলোয়াড় হিসাবে শোয়েব মালিক শতরান করেছেন। এই কৃতিত্ব আর কোনও খেলোয়াড়ের নেই। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে ১২৮ রান করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচ পাকিস্তান ৫৪ রানে জয় পায়।
চতুর্থ তথ্য
এই নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচ হবে এজবাস্টনে। এর আগে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে ভারত-পাকিস্তান এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলেছে।
পঞ্চম তথ্য
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান দুই দলের কোনও বোলারই কোনওদিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিতে পারেননি। ভারতের হয়ে সেরা বোলিং করেছেন আশিস নেহরা (২০০৯ সালে ৫৫ রানে ৪ উইকেট)। এদিকে পাকিস্তানে হয়ে সেরা বোলিং নাভেদ উল হাসানের (২০০৪ সালে ২৫ রানে ৪ উইকেট)।
ষষ্ঠ তথ্য
রবিবারের এনকাউন্টার অধিনায়ক হিসাবে বিরাট কোহলির বহুদেশীয় কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে নামা। একই ঘটনা ঘটতে চলেছে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের ক্ষেত্রেও। দুজনেই এর আগে এত বড় আইসিসি টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেননি।
সপ্তম তথ্য
ভারত অধিনায়ক হিসাবে কোহলি ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। একইভাবে পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক সরফরাজ ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে কাপ জেতেন।
অষ্টম তথ্য
ভারতীয় দলের মোট ৯জন খেলোয়াড় ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন। এরা হলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, দীনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদব। এদিকে পাকিস্তানের মোট তিনজন ২০১৩ সালের দল থেকে রয়েছেন। এরা হলেন শোয়েব মালিক, মহম্মদ হাফিজ ও জুনেইদ খান।