অভিশপ্ত ইংল্যান্ডেই সাত বছর পর 'শাপমোচন' মহম্মদ আমেরের
একদিন যে ইংল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে দল ও দেশের মাথা হেঁট করেছিলেন, সেদেশে দাঁড়িয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে দলকে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়ে জেতালেন মহম্মদ আমের।
২০১০ সালের লন্ডন টেস্ট। ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের সেই ম্যাচ ক্রিকেট বিশ্বকে ফের একবার নাড়িয়ে দিয়েছিল। একসঙ্গে তিনজন পাকিস্তান ক্রিকেটারকে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ব্যান করে দেওয়া হয়। তারা হলেন সলমন বাট, মহম্মদ আসিফ ও মহম্মদ আমের।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে হারা ম্যাচে অনবদ্য রেকর্ড 'বাজিগর' হার্দিকের
যে যে ভুল চালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিল কোহলির ভারত
বুকি মাজহার মাজিদের থেকে টাকা নিয়ে ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছিলেন সলমন বাট, মহম্মদ আসিফের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। আর সেই দলে নাম লিখিয়েছিলেন সেইসময়ে মাত্র ১৮ বছর বয়সী পাকিস্তান ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল প্রতিভা মহম্মদ আমের। সেইপর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হতে হয়েছিল।
২০১৬ সালের শুরুতে পাঁচ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে আমের ক্রিকেট মাঠে ফেরেন। আর এদিন সেই ইংল্যান্ডের মাটিতেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দলকে জিতিয়ে নিজের শাপমোচন করলেন। একদিন যে ইংল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে দল ও দেশের মাথা হেঁট করেছিলেন, সেদেশে দাঁড়িয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে দলকে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়ে জেতালেন।
ভারতে বসে কাশ্মীরিরা যা করল তা দেশদ্রোহিতা ছাড়া আর কিছু নয়
এদিন পাকিস্তানের ৩৩৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মহম্মদ আমেরের বলে একে একে ফিরে যান শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। এই তিনজই গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দলের ব্যাটিংকে টেনেছেন। আজ যেন ফাইনালে ইংল্যান্ডের মাঠে বল হাতে আগুন ঝড়িয়ে ফের একবার নিজের ফিরে আসার বার্তা দিলেন আমের।
চিরকালই ভক্ত কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আক্রমের। বল হাতে কিছু করার চেষ্টাও তাঁকে দেখেই। ছোট থেকেই গলি ক্রিকেটে অভ্যস্ত ছিলেন। পাঞ্জাব প্রদেশের গুজ্জর পরিবারের সন্তান আমির ২০০৭ সালে চোখে পড়ে যান ওয়াসিম আক্রমের। তারপর একে একে ঘরোয়া ক্রিকেট, অনূর্ধ্ব ১৯ দল হয়ে ২০০৯ সালে পাকিস্তান দলে অভিষেক।
বিশ্ব ক্রিকেট যখন ধীরে ধীরে আমেরকে চিনতে শুরু করেছে, যখন ভাবা হচ্ছে, ওয়াসিম আক্রমের পর ফের একজন ভালো বাঁ হাতি পেসার পাকিস্তান পেয়ে গিয়েছে, সেইসময়ই ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের জড়িয়ে কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ বছরের বেশি সময় আমের নষ্ট করে ফেলেন। তবে তাতে তিনি দমে যাননি। সেটাই যেন ফের একবার প্রমাণ করে ছাড়লেন তিনি।