পরে ব্যাট করে ১৯ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল পাকিস্তান
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এজবাস্টনেই ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ভালো খেলে টুর্নামেন্টে গ্রুপ বি-এর খেলা জমিয়ে দিল সরফরাজ খানের দল।
ভারতের বিরুদ্ধে পর্যুদস্ত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এজবাস্টনেই ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জিতে টুর্নামেন্টে গ্রুপ বি-এর খেলা জমিয়ে দিল সরফরাজ খানের দল। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি মেনে ১৯ রানে জিতল পাকিস্তান।
এজবাস্টনে টসে জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বোলিং এদিন অনেকটা শুধরে নেয় পাকিস্তান। শুরু থেকেই সঠিক লেংথে বল করতে থাকেন মহম্মদ আমির, জুনেইদ খানরা।
এদিন পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন হাসান আলি। তিনি ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। জুনেইদ ও ইমাদ ওয়াসিম ২টি করে উইকেট পান।
পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুবাদে একসময়ে বোর্ডে একশো রান ওঠার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেট পড়ে যায়। কুইন্টক ডি কক (৩৩ রান) ভালো শুরু করে ফেরেন। আগের ম্যাচে শতরানকারী আমলা (১৬) এদিন রান পাননি। মিডল অর্ডারে ফাফ ডু প্লেসি (২২), এবি ডিভিলিয়ার্স (০), জেপি ডুমিনিরা (৮) ব্যর্থ হলেও ডেভিড মিলার ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মিলারের সুবাদেই প্রোটিয়ারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৯ রান করে। মিলারকে সঙ্গে দেন ক্রিস মোরিস (২৮ রান) ও কাগিসো রাবাদা (২৬ রান)।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরুটা খারাপ করেনি। মাত্র ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৫ রান ওঠে। তবে এরপরে ফকর জামান (৩১ রান) আজহার আলি (৯ রান) আউট হলে রান তোলার গতি থমকে যায়। এরপরে দলের ৯৩ রানের মাথায় মহম্মদ হাফিজের উইকেট হারায় পাকিস্তান। অভিজ্ঞ হাফিজ ২৬ রান করে আউট হন।
তবে চতুর্থ উইকেটে ফের কিছুটা রান যোগ করার পর ২৭ ওভারের মাথায় বৃষ্টি নামে। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মানুযায়ী পাকিস্তানকে ২৭ ওভারের মধ্যে ১০০ রান করতে হতো। ফলে বৃষ্টি নামা পর্যন্ত পাকিস্তান ১৯ রানে এগিয়ে থাকে। পরে আর খেলা না হওয়ায় পাকিস্তান করে ব্যাট করেও ১৯ রানে ম্যাচ জেতে।