চেন্নাইয়ের অভিজ্ঞতার কাছে হারল দিল্লি, অষ্টমবার আইপিএলের ফাইনালে ধোনির দল
তরুণ দিল্লি ক্যাপিটালস দলকে অভিজ্ঞতায় হার মানাল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
তরুণ দিল্লি ক্যাপিটালস দলকে অভিজ্ঞতায় হার মানাল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। শ্রেয়স আইয়ারের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফের একবার আইপিএলের ফাইনালে চলে গেল সিএসকে। দল হিসেবে চেন্নাই এই নিয়ে ফাইনালে গেল ৮ বার।
এদিন টসে জিতে বিশাখাপত্তনমের মাঠে ধোনি প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। দিল্লি টুর্নামেন্টের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই বড় রান করলেও এদিন বড় রান তুলতে ব্যর্থ হয়। শুরুতেই পৃথ্বী শ ৫ রানে, শিখর ধাওয়ান ১৮ রানে, তিন নম্বরে নামা কলিন মুনরো ২৭ রানে ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ১৩ রানে ফিরে যান।
একটা সময় ১১.৩ ওভারে দিল্লি ৭৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নামেন ঋষভ পন্থ। তিনি একদিক ধরে রাখলেও অপর দিক থেকে দিল্লির উইকেট পতন অব্যাহত ছিল। অক্ষর প্যাটেল ৩, শেরফান রুদারফোর্ড ১০, কিমো পল ৩ রান করে ফেরত যান।
ফলে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে দিল্লি বড় কোনও পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারেনি। একটা সময় ১১৭ রানে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল ১৮ ওভারে। শেষ অবধি শেষ দুই ওভারে ২৮ রান তুলে কিছুটা ভদ্রস্থ স্কোর খাড়া করে দিল্লি। ২৫ বলে পন্থ করেন ৩৮ রান।
ইনিংসে অন্তত ২০ রান কম করেছিল দিল্লি। এই অবস্থায় চেন্নাই এর মতো শক্তিশালী ব্যাটিংকে থামিয়ে রাখা এবং ম্যাচ জেতা কঠিন ছিল। এবং চেন্নাই কোনও ভুল করেওনি। দুই বিদেশি অভিজ্ঞ ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি ও শেন ওয়াটসন অনবদ্য শুরু করেন।
প্রথমে একটু ধরে খেললেও পরের দিকে দুজনেই হাত খুলে মারতে থাকেন। ওয়াটসন মাত্র ৩১ বলে ৫০ করেন। আর ডু প্লেসি ৩৮ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তবে দুজনেই ৫০ রান করার পরে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান।
ততক্ষণে চেন্নাই জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। এরপরে সুরেশ রায়না ১১ রান, আম্বাতি রায়ডু অপরাজিত ২০ রান এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি ৯ রান করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন।
দিল্লি বোলাররা ভালো করলেও আর সামান্য কিছু রান বেশি থাকলে হয়ত প্রথমবার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দিল্লি ক্যাপিটালসের পূর্ণ হতো। তবে ফের একবার অভিজ্ঞতায় মাত দিয়ে আইপিএলের ফাইনালে চলে গেল চেন্নাই সুপার কিংস।