৩০ সেকেন্ডই তফাত গড়ে দিয়েছে জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে - এখনও আতঙ্কিত বাংলাদেশ দল
দেশে ফেরার পর বাংলাদেশি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলার সময় জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য গড়ে গিয়েছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড।
ঘটনার পর তিনদিন কেটে গিয়েছে। বাংলাদেশ দল দেশে ফিরে এসেছে। কিন্তু তারপরেও ঘটনার আতঙ্ক যাচ্ছে না বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মন থেকে। গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে ব্রেন্ডন টেরান্ট ও আরওকয়েকজন সন্ত্রাসবাদী দুটি মসজিদে হামলা চালিয়েছিল। দেশে ফেরার পর বাংলাদেশী ক্রিকেটার তামিম ইকবাল জানিয়েছেন সাক্ষাত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন তাঁরা।
তিনি জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ড থেকে যখন দেশে ফেরার বিমান ধরতে যাচ্ছিলেন, সেই সময়, দলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন যে মাত্র ৩০ সেকেন্ডই তফাত গড়ে দিয়েছে। যদি ৩০ সেকেন্ড আগেও মসজিদে পৌঁছতেন তাহলে দেশে ফেরা আর হত না। মসজিদে তাদেরই নিথর দেহ পড়ে থাকত।
ঘটনার দিন কিন্তু তামিম ও মুশফিকুরের ঠান্ডা মাথার জন্যই রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশ দল, এমনটাই জানিয়েছেন দলের ভারতীয় ভিডিও অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। তিমনি জানিয়েছেন, ভয় আর আতঙ্ক ছাড়া ঘটনার য়ের কোনও কথা সেভাবে তাঁর স্মৃতিতে নেই। শুদু মনে আছে, তামিম আর মুশফিুরই তাঁদের দৌড়াদৌড়ি না করে বাসের মধ্যেই থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। তাঁর মতে, ভাগ্যিস সাংবাদিক সম্মেলনে বেশি বেশি প্রশ্ন হয়েছিল, নইলে ৩০ সেকেন্ড আগেই পৌঁছতেন তাঁরা।
একইসঙ্গে তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার থেকে পুলিশ, প্রশাসন, সাদারণ মানুষ প্রত্য়েককে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কিউই অধিনায়ক কেই উইলিয়ামসনও তাঁকে মেসেজ করেছিলেন।