ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, খেলব কি খেলব না - পক্ষে-বিপক্ষে কে কী বললেন, জেনে নিন
পুলওয়ামার সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার পর আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯-এ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করার জন্য দাবি ক্রমে বাড়ছে। দেখে নেওয়া যাক এই বিতর্কে কে কী বললেন।
পুলওয়ামার সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার পর থেকে আসন্ন আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯-এ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করার দাবি ক্রমে বাড়ছে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ এই ঘটনার দায় নেওয়ার পর থেকেই ক্রিকেট মহলের একাংশ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম ক্রিকেটিয় সম্পর্ক বন্ধ করার দাবি ওঠে।
আবার একাংশ মনে করছেন, খেলা বয়কট করে কোনও সমাধানে পৌঁছনো যাবে না। আগামী ৮ জুন বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্য়াচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ভারত ও পাকিস্তানের। ভারত না খেললে পাকিস্তান সেই ম্যাচের পয়েন্ট পেয়ে যাবে। আর যদি দুই দেশ নকআউট রাউন্ডে মুখোমুখি হয় তাহলে না খেলেই সেই ম্যাচে জয়ী হবে পাকিস্তান, ভারত ছিটকে যাবে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই বিতর্কে কে কী বলছেন -
সিসিআই
এই বিতর্কের উত্থান হয়েছিল ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া-র থেকে। ক্লাবের তরফে বিসিসিআইকে এক চিঠি দিয়ে ম্য়াচটি না খেলার আবেদন জানানো হয়। বলা হয়, এই ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলার মানে নেই।
হরভজন সিং
প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং-ও একই মতের শরিক। তাঁর মতে ভারতীয় দলের যা শক্তি তাতে পাক ম্যাচ না খেললেও ভারত জিতবে। কিন্তু এই ম্য়াচ খেললে পাকিস্তান, ভারতেরস সঙ্গে এই জঘন্যা আচরণ করা চালিয়েই যাবে।
বিসিসিআই
এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে ভারতীয় বোর্ড কোনও সরকারি বিবৃতি না দিলেও তাদের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের কতায় স্পষ্ট হয়েছে, এই ব্যাপারে জল মেপে এগোতে চাইছে তারা। এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, হরভজন স্পষ্ট করেননি নকআউট পর্যায়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হলে কি করা হবে, সেক্ষেত্রে কি সেমিফাইনাল বা ফাইনাল ম্য়াচও ছেড়ে দেবে ভারত? বোর্ড জানিয়েছে, কিছু সময় গেলে পরিস্থিতি অনেকটাই পরিষর হয়ে যাবে।
আইসিসি
সকল সদস্যদের নিয়েই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিসির সিইও ডেভিড রিচার্ডসন। তবে এখনও কোনও ম্যাচ বাতিলের পরিস্থিতি তৈরি হয়ি বলেও স্পষ্ট করেছিলেন। পরে অবশ্য আইসিসির এক সূত্র দাবি করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি, দুবাইয়ে আইসিসির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
|
চেতন চৌহান
প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা উত্তরপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী চেতন চৌহান অবশ্য বিশ্বকাপে ম্য়াচ না খেলার পক্ষে নেই। তিনি জানিয়ছেন, বিশ্বকাপের মতো গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় না খেললে বড় মাপের জরিমানা বা নির্বাসনের সাজা ভুগতে হতে পারে। সরকার ও বিসিসিআই-এর তা মাথায় রাখা উচিত।
|
রবি শঙ্কর প্রসাদ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন যাঁরা ম্যাচ খেলার বিরোধিতা করছেন, তাঁদের আবেগকে সম্মান জানাতে হবে। তবে খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তিনি বোর্ড, সরকার ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির উপরই ছেড়েছেন।