জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলি, পাকিস্তানে বন্ধ ক্রিকেট ম্যাচ, আতঙ্ক
জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলি, পাকিস্তানে বন্ধ ক্রিকেট ম্যাচ, আতঙ্ক
যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই মাটিতে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তান, ঠিক তখনই ইমরান খানের দেশে ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ করে দিল জঙ্গিরা। স্টেডিয়ামে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তৈরি করা হল আতঙ্ক। তবে একটাই শান্তি যে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। হামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
২০০৯ সালে পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এরপর থেকে ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রমের দেশে ক্রিকেট নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল আইসিসি। ১০ বছর পর অর্থাৎ ২০১৯ সালে পাকিস্তানে ফের ক্রিকেট সফরে যায় শ্রীলঙ্কা। শোয়েব আখতারের দেশে টেস্ট খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশও। শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছিল দুই সিরিজ। এরপরেই ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য গলা ফাটাতে শুরু করে পিসিবি। অভিযোগ করে, পরিবেশ এবং পরিস্থিতি অনুকূল হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অনড় মনোভাবের জন্যই দুই দেশের মধ্যে ফের ক্রিকেট শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
যদিও আপাতত পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলা কিংবা বাবর আজমদের ভারতে ঢাকার কোনও ভাবনাই বিসিসিআইয়ের নেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবিরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধের প্ররোচনা ও ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। একই কারণে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যেতেও অরাজি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক, তা প্রমাণ হল পাকিস্তানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গুলির ঘটনায়। সে দেশের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কোহাট ডিভিশনের দ্রাদার মামাজি এলাকায় স্থানীয় দুই দলের ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল বলে খবর। করোনা ভাইরাসের আবহে এএমএন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে জড়ো হয়েছিলেন বহু দর্শক। আচমকাই সেখানে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। কোনও মতে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, টুর্নামেন্টের উদ্যোক্তা এবং দর্শকরা। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীদের নাগাল বাঁচিয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরাও। ঘটনার পিছনে কোন সংগঠন রয়েছে, কী তাদের উদ্দেশ্য, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।