বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে, ধর্মঘট প্রসঙ্গে মন্তব্য বিসিবি প্রেসিডেন্টের
গতকাল ১১ দফা দাবি তুলে সব ধরনের ক্রিকেট খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে বাংলাদেশের ভারত সফর ও সেই দেশের ঘরোয়া জাতীয় লিগ।
গতকাল ১১ দফা দাবি তুলে সব ধরনের ক্রিকেট খেলা বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে বাংলাদেশের ভারত সফর ও সেই দেশের ঘরোয়া জাতীয় লিগ। সমস্যা সমাধানের জন্য আজ দুপুর ১২টায় বৈঠকে বসেন বিসিবির কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।
মাঠে চলছে জাতীয় লিগ। জাতীয় দল ভারত সফরে যাবে আগামী মাসে। তার আগে হঠাৎ করে দেশের ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ডাকাকে ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সংবাদ সম্মেলনে বেশ উত্তেজিত কণ্ঠেই বিসিবি সভাপতি বলেন, "বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। ওরা এখন ভারত সফরে না গেলে আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। কিছুদিনের জন্য সময় চাইছি। সবকিছু প্রকাশ করা হবে।"
খেলোয়াড়দের ধর্মঘট নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, "বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই জানে না আসল পরিকল্পনাটা কী। ওরা না জেনেই এসেছে। আসল পরিকল্পনা জানে দু-একজন।" খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি সরাসরি বলেন, "এমন ভাব দেখাচ্ছে যে আমরা কিছুই করছি না। তোমরা না খেললে আমাদের কী করার আছে।"
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, "ধর্মঘট ডেকে খেলোয়াড়েরা এ পর্যন্ত সফল। দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সফল হয়েছে। ওরা কথা বলার কোনও সুযোগই রাখেনি। সবই পরিকল্পনার অংশ। তবে সবাই জেনেশুনে অংশ নিয়েছে বলে মনে হয় না। এটা আমাদের খুঁজে বের করা দরকার।"
দুই টেস্ট এবং তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী মাসে ভারত সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। তার আগেই গতকাল দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হয়ে ধর্মঘটের ডাক দেন জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাঁর সঙ্গে ধর্মঘটে শামিল হওয়ার কথা জানাতে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন ৫০ জনের বেশি ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহর মতো তারকা ক্রিকেটাররাও।