গুরু পাপে লঘু দন্ড, আইসিসি-র একচোখোমিতে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটাররা
আইসিসি-র মেরুদন্ডহীন শাস্তির জন্য ক্রিকেটাররা এক হাত নিলেন, স্টিভ স্মিথের শাস্তি নিয়ে ক্ষুদ্ধ টুইটারি।
ক্রিকেট দুনিয়ায় প্রবল ঝড়। আর সেই ঝড়ের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে স্টিভ স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে তিনি ডেভিড ওয়ার্নার ব্যানক্রফের বল বিকৃতি বিতর্কের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে। সারা পৃথিবীর ক্রিকেট মহল ধিক্কার জানাচ্ছে। এরওপর আগুনে ঘি ঢেলেছে আইসিসি-র শাস্তির বিধান।
ব্যানক্রফটের বল বিকৃতির অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তাঁর শুধু ম্যাচ ফি কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। অন্যদিকে দলের অধিনায়ক হিসেবে স্টিভ স্মিথ এক ম্যাচের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন ও তাঁর ম্যাচ ফি কাটা গেছে। ক্রিকেটে বল বিকৃতি পুরো খেলার সম্মানে একটা কালির পোঁছ। কী করে এত বড় অপরাধে লঘু শাস্তির বিধান দিল আইসিসি, সেটা নিয়েই সরব ক্রিকেটমহল। আইসিসিকে মেরুদন্ডহীণ -ভীতুও বলতে পিছপা হননি তারা।
এই তালিকায় রয়েছেন কেভিন পিটারসন, মাইকেল ভন, হরভজন সিংরা।
এদিকে ক্রুদ্ধ টুইট করেছেন হরভজন সিংও। কারণ তিনি নিজে আইসিসি-র শাস্তির খাড়ায় পড়েছেন। নিজের দুটি ঘটনারই উল্লেখ করেছেন ভাজ্জি। ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর কালে আম্পায়রকে অতিরিক্ত আবেদন করার জন্য শাস্তি পেয়েছিলেন ৬ ক্রিকেটার। আর ২০০৮ সালে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সঙ্গে মাঙ্কিগেট তো সকলেরই জানা।
এদিকে এই নির্বাসনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোহনসবার্গে শেষ ও চতুর্থ টেস্টে খেলা হবে না স্টিভ স্মিথের। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটসম্যান ব্যানক্রফট অবশ্য নির্বাসনের শাস্তির খাড়া থেকে বেঁচে যাওয়ায় এই ম্যাচে খেলতে তার কোনও বাধা নেই।
আইসিসি-র প্রধান এক্সিকিউটিভ ডেভিড রিচার্ডসন বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার লিডারশিপ গ্রুপের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই কাজ হয়েছিল, যা ক্রিকেট খেলার নীতি বিরোধী।'
ব্যানক্রফট স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি আইসিসি-র ব্যবহারবিধির ২.২.৯ নম্বর ধারা ভেঙেছেন। এতে ৪১.৩ ধারায় বলের অবস্থার পরিবর্তনের মত মারাত্মক কাজ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্ট চলাকালীন শনিবার এই ঘটনা ঘটে। যেখানে বাইরের একটা বস্তু দিয়ে বল ঘষা হয়েছিল। সেই বস্তুটি নিজের ট্রাউজারের পকেটে নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন অজি ক্রিকেটার।