চেন্নাইয়ের পরে এবার দিল্লি থেকে সরতে পারে আইপিএলের ম্যাচ, অন্য জটিলতা রাজধানীতে
অন্য সমস্যায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ম্যাচও তাদের হোম গ্রাউন্ড থেকে সরতে পারে।
কাবেরী জলসঙ্কট নিয়ে তামিলনাড়ু উত্তপ্ত হওয়ায় চিপক স্টেডিয়াম থেকে ম্যাচ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। কলকাতার সঙ্গে ম্যাচের দিন চেন্নাইয়ে তুমুল বিক্ষোভ হয়। যার জেরে তার পরের দিনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়। এবার থেকে বাকী হোম ম্যাচ পুনেয় খেলবে চেন্নাই সুপার কিংস।
এবার অন্য সমস্যায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ম্যাচও তাদের হোম গ্রাউন্ড থেকে সরতে পারে। দিল্লিকে ফিরোজ শা কোটলার বদলে বাকী ম্যাচের জন্য অন্য কোনও মাঠ বেছে নিতে হতে পারে।
সূত্রের খবর, ফিরোজ শা কোটলা স্টেডিয়ামের আরপি মেহতা ব্লক যেটি পুরনো ক্লাবহাউস হিসাবে পরিচিত, সেখানে টিভি ক্যামেরা সহ অন্তত ২ হাজার জন দর্শকের বসার জায়গা রয়েছে। সেটিই 'অবৈধ নির্মাণ' বলে চিহ্নিত হয়েছে। যার জেরে দিল্লির উচ্চ আদালত আইপিএল কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গায় ক্য়ামেরা রেখে কাজ করার অনুমতি দেবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে আইপিএল সম্প্রচার বিঘ্নিত হতে পারে। এবং সেক্ষেত্রে আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফিরোজ শা কোটলা ময়দান থেকে ম্যাচ অন্যত্র সরিয়ে দিতে বাধ্য হবে। এবং দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকেও হোম ম্যাচ অন্যত্র খেলতে হবে।
এই ব্লক থেকে যে ক্যামেরা কাজ করে সেগুলি বোলারের পিছন থেকে হাত তাক করে ভিডিও তোলে। যেগুলি স্লো মোশন ভিডিওতে কাঁটাছেড়ার জন্য প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাঙ্গেল রয়েছে। ফলে আদালত এই ব্লক ব্যবহার করতে না দিলে ম্যাচ সরাতে বাধ্য হবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৮ এপ্রিল আদালতে এই সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস কর্তৃপক্ষ আগেভাগে বিষয়টি জানতে চাইছে। না হলে ম্যাচ সরানোর মতো পর্যাপ্ত সময় তাঁরা পাবেন না। যদিও আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা আশাবাদী দিল্লি হাইকোর্ট ক্যামেরা এই পুরনো ব্লকে বসানোর অনুমতি দেবে। তখন আর ম্যাচ করা নিয়ে সমস্যা হবে না। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস কর্তৃপক্ষও এখনও হোম গ্রাউন্ড সরানোর প্রস্তুতি শুরু করেনি। আদালতের দিকে চেয়ে রয়েছেন সকলে।
আগামী ২৩ এপ্রিল দিল্লির হোম ম্যাচ রয়েছে কোটলার স্টেডিয়ামে। এটাই দিল্লির এই মরশুমের হোম ম্যাচ। যদি সেখান থেকে ম্য়াচ সরানো হয় তাহলে কানপুর, রাজকোট অথবা রায়পুরে তাদের ম্যাচ দিল্লি হোম ম্যাচ হিসাবে খেলবে।