সৌরভের বচন ফেল,ব্যর্থ সামির লড়াই, লজ্জার হারে সেমিতেই শেষ রনজি অভিযান
তৃতীয় দিনে বাংলার আশা জাগিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা মুখ ডোবালেন।
রনজির সেমিফাইনাল বাংলার লজ্জা। লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের সুবাদে তিন দিনেই ফাইনালের টিকিট পকেটে পুড়ে নিল গৌতম গম্ভীরের দিল্লি।
লজ্জার হার বাংলার। রনজির তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে গেল বাংলার ফাইনালের টিকিট যোগাড়ের সব আশা। দিল্লির বিরুদ্ধে ইনিংস ও ২৬ রানে হেরে অভিযান শেষ করল মনোজ এন্ড কোং। রনজি সেমিফাইনালের দ্বিতীয় দিনে জোড়া শতরান করেন গম্ভীর ও কুণাল চান্ডেলা। এরপর কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুটা দেখে দিনের শেষের এই পরিণতি ভাবতে পারেনি তারা। বাংলার হয়ে আগুন ঝরান মহম্মদ শামি। ৬ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলে ৩৯৮ রানে শেষ হয় দিল্লির প্রথম ইনিংস। লিড থাকে মাত্র ১১২ রান।
কিন্তু এরপরই তথৈবচ পারফরম্যান্স বাংলার ক্রিকেটারদের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইন আপ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ২১ রান। সাইনি ও খেজোরোলিয়ার জোড়া ফলা আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বাংলা। ৪ টি করে উইকেট তুলে নেয় দুই বোলার। ৮৬ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ১৪, শ্রীবৎস গোস্বামী ১৭, অভিমণ্যু ইশ্বরণ ১৩ এইসব রান দাঁড়ায় বাংলার স্কোরশিটে।
যেখানে দিল্লিকে প্রথম ইনিংসে ১১২ রানের লিডে বেঁধে রাখতে পেরে দারুণ আশায় উজ্জীবিত হয়েছিল বাংলা থিঙ্কট্যাঙ্ক দিনের শেষে সেখানেই এরকম লজ্জার পরিসংখ্যানের ছাপ রেখে এল তারা। একদিন আগে গম্ভীর ও চান্ডেলার শতরানে যেখানে খানিকটা মনোবল ভেঙে গিয়েছিল বঙ্গব্রিগেডের সেখানে সৌরভ তাঁদের ইডেনে বিখ্যাত ভারত- অস্ট্রেলিয়া টেস্টের উদাহরণ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন পজিটিভ থাকতে । কিন্তু দাদির এবারের টিপস আর কাজে লাগাতে পারল না টিম বেঙ্গল।
এদিকে এর আগে প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৮৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৯। এরপর প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলা। অন্যদিকে দিল্লির দ্বিতীয় দিনে শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ২৭১ রানে।