বোলিং ব্যর্থতা ও ব্যাটিংয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে হারল ভারত
নটিংহ্যামে জেতার পরে লর্ডসে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে জিতে একদিনের সিরিজও জেতার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। তবে বোলিং ব্যর্থতা ও ব্যাটিংয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাতে গিয়ে হেরে বসল ভারত।
নটিংহ্যামে জেতার পরে লর্ডসে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে জিতে একদিনের সিরিজও জেতার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। তবে বোলিং ব্যর্থতা ও ব্যাটিংয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাতে গিয়ে হেরে বসল ভারত। যার ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ আপাতত ১-১ হল। শেষ ম্যাচে সিরিজের ফয়সালা হবে।
এদিন টসে জিতে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফের একবার অনবদ্য শুরু করেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। জোরে বোলাররা এদিনও ব্যর্থ হন। প্রথম ধাক্কাটা দেন কুলদীপ যাদব। বেয়ারস্টোকে ৩৮ রানে ফেরান। তিন নম্বরে নামা জো রুট অনবদ্য শতরান (১১৩) করেন।
এদিন ইংল্যান্ড মিডল অর্ডার দারুণ না করলেও ইয়ন মর্গ্যান ৫৩ রান করেন। মাঝে বেন স্টোকস (৫), জস বাটলার (৪), মঈন আলি (১৩)-রা রান না পেলেও শেষদিকে ডেভিড উইলি ৩১ বলে ৫০ রান করে যান। যার ফলে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২২ রান তোলে।
ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব ৬৮ রানে ৩ উইকেট নেন। যুজবেন্দ্র চাহাল ৪৩ রানে ১ উইকেট নেন। আর কোনও বোলার প্রভাব ফেলতে পারেনি।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি ভারত। তবে ৪৯ রানের মাথায় রোহিত শর্মা অহেতুক মারতে গিয়ে মার্ক উডের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৫ রান করে। তারপরে শিখর ধাওয়ানও পয়েন্টে তুলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ৩৬ রান করে ফিরে যান। তারপরে ০ রানে ফেরেন কেএল রাহুলও। ফলে ১১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত চাপে পড়ে যায়।
অধিনায়ক কোহলি ৪৫ রান করেন। রায়না করেন ৪৬ রান। দুজনে ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। তবে বিরাট ফিরতেই রায়নাও ফিরে যান। তারপরে মহেন্দ্র সিং ধোনি, হার্দিক পান্ডিয়ারা থাকলেও এত রান তাড়া করা সহজ ছিল না। ধোনি একদিন ধরে রাখলেও পান্ডিয়া ফের অহেতুক শট খেলে ২১ রানে ফেরেন।
ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচ ইংল্যান্ডের পক্ষে চলে গিয়েছে। শেষ অবধি ভারত ৫০ ওভারে ২৩৬ রান করে অল আউট হয়ে যায়। ফলে ম্যাচ হারতে হল ৮৬ রানে।