ভারত ফেলল দুটি ক্যাচ, কুকের হাফসেঞ্চুরিতে চা পানের বিরতিতে ইংল্যান্ড ১২১/১
প্রথমদিনের চাপানের বিরতির সময় ইংল্যান্ড বনাম ভারত পঞ্চম টেস্টের স্কোর, ইংল্যান্ড ১২১/১। অ্যালিস্টার কুক (৬৬) ও মঈন আলী (২৩) অপরাজিত রয়েছেন।
কেনিংটন ওভালে শুক্রবার শুরু হল ইংল্যান্ড বনাম ভারত সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট। চা পানের বিরতি অবধি ইংল্যান্ড শুধু মাত্র কিটন জেনিংস(২৩)-র উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলেছে। শেষ টেস্টে কেরিয়ারের ৫৭তম অর্ধশতরান পূর্ণ করেছেন অ্যালিস্টার কুক (৬৬)। তাঁর সঙ্গে অপরাজিত আছেন মঈন আলি (২৩)।
ওভালের উইকেটে ভালই ঘাস রয়েছে। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন টসজয়ী দল বোলিং নেবে। কিন্তু সিরিজে পঞ্চমবার টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংরেজ অধিনায়ক জো রুট। কিটন জেনিংসের সঙ্গে শেষ টেস্ট খেলতে মাঠে নামেন অ্যালিস্টার কুক।
কিন্তু লন্ডনের সকালের আবহাওয়া ও পিচে থাকা ঘাসের সুবিধা তুলতে পারেননি ভারতের ফাস্ট বোলাররা। জসপ্রীত বুমরা ও ইশান্ত শর্মা জুটি ইংরেজ ওপেনারদের বারবার বিব্রত করলেও তাঁদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে পারেননি।
এরপর বিরাট কোহলি আক্রমণে নিয়ে আসেন একদিক থেকে মহম্মদ শামি ও অপর প্রান্তে অফস্পিনার রবীন্দ্র জাদেজাকে। সাফল্য আসে মধ্য়াহ্নভোজের বিরতির মাত্র কয়েক মিনিট আগে। ২৪তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনে পরাস্ত হন জেনিংস। ২৩ রান করে তিনি ফিরে যান কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ক্রিজে আসেন মঈন আলি।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ২৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৮। সেইসময় অ্যালিস্টার কুক ৩৭ রানে ও মঈন আলি ২ রানে অপরাজিত ছিলেন। লাঞ্চের পর ফের আক্রমণে আসেন ইশান্ত ও বুমরা জুটি। সেই সময় তাঁরা কড়া পরীক্ষা মুখে ফেলেছিলেন ইংরেজ ব্য়াটসম্যানদের।
পর পর তিন ওভার মেইডেন যাওয়ার পর প্রথমে কুক ও তারপর মঈন আলি ক্যাচ পড়ে। বুমরার বল কুকের ব্যাটের কানায় লেগে পঞ্চম স্লিপে গিয়েছিল। কিন্তু তা তালুবন্দী করতে পারেননি সহঅধিনায়ক রাহানে। এরপরের ওভারেই ইশান্ত শর্মার বলে মঈন আলির ক্যাচ ফসকান স্বয়ং অধিনায়ক বিরাট। এরপর আবার বুমরার একটি বল মঈন আলির প্যাডে লাগলে ভারত রিভিউ নেয়। কিন্তু সেটি আউট ছিল না।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে ইংল্যান্ড। ৪৬তম ওভারে তারা ১০০ রান অতিক্রম করে। তার পরের ওভারেই অ্যালিস্টার কুক ১৩৯টি বল খেলে তাঁর কেরিয়ারের ৫৭ তম হাফসেঞ্চুরিটি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি ৪।
চা পানের বিরতি পর্যন্ত ভারত আর কোনও উইকেট ফেলতে পারেননি। লাঞ্চের পরের ওই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচদুটি না ফেললে ভারত ভাল জায়গায় থাকতে পারত।