ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলা ক্রিকেটার ডোপিংয়ে অভিযুক্ত, নির্দেশিকা জারি বোর্ডের
ডোপিংয়ের ছায়া ফের একবার ভারতীয় ক্রিকেটে এবার জড়িয়ে গেল এক ধামাকা ক্রিকেটারের নাম। যিনি জাতীয় দল, আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি দলে চুটিয়ে খেলেছেন।
ডোপিংয়ের ছায়া ফের একবার ভারতীয় ক্রিকেটে এবার জড়িয়ে গেল এক ধামাকা ক্রিকেটারের নাম। যিনি জাতীয় দল, আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি দলে চুটিয়ে খেলেছেন।
ডোপিংয়ের ফেরে পড়লেন কেকেআরের তারকা ক্রিকেটার পাঠান বড় ভাই। ইউসুফ পাঠানের ডোপ টেস্টে রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলা প্রাক্তন এই ধামাকা ক্রিকেটারকে তাই বরোদা দলে অন্তর্ভুক্ত করতে বারণ করার নির্দেশিকা জারি করেছে বোর্ড।
ইউসুফ পাঠানের ডোপ পরীক্ষায় নিষিদ্ধ বস্তু টারবুটালাইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত বছর একটি মাত্র রনজি ম্যাচে খেলেছেন ইউসুফ পাঠান। সূত্রের খবর পাঠান 'ব্রুজিট' নামের একটি ওষুধ নেন পাঠান। এই ওষুধ নিতে গেলে আগে থেকে অনুমতি হয়। কারণ এই ওষুধে টারবুটালাইন থাকে। এটি নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত ওষুধ। কিন্তু ইউসুফ পাঠান তা করেননি।
ডোপিংয়ে রিপোর্ট পজিটিভ আসায় বিসিসিআই বরোদা ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছে যেন ইউসুফ পাঠানকে বাকি মরশুমে আর দলে না রাখা হয়। এর আগে দিল্লির বোলার প্রদীপ সাঙ্গওয়ান ডোপ টেস্টে পজিটিভ এসেছিলেন। যাঁর জন্য ১৮ মাসের নির্বাসনের খাঁড়া নেমে এসেছিল। ২০১২ সালের আইপিএল চলাকালীন ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন তিনি। যদিও গত অক্টোবরের পর থেকে আর একটিও ম্যাচ খেলেন নি ইউসুফ পাঠান।
[আরও পড়ুন:হল না পারফেক্ট পার্টনারশিপ ম্যাচ হারার দায় যাদের ওপর দিলেন বিরাট ]
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দীর্ঘদিন নানারকম টালবাহানা করে নাডা-র স্ক্যানারের তলায় আসতে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে এটা পরিষ্কার নয় ন্যাশানাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি -র দাপাদাপি আটকানোর চেষ্টা ছিল। কিন্তু এখন ক্রিকেট প্লেয়াররাও এই স্ক্যানারের তলায়।
যদিও বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরি ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সিকে জানিয়েছিলেন , নাডা-র কোনও এক্তিয়ার নেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষা করার। বিসিসিআইয়ের চেকিং পদ্ধতিই যথেষ্ট বড় জানিয়েছিলেন জোহরি।