বেশি সতর্ক হতে গিয়ে ডুবল আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়ায় টোটাল ফুটবলে বুঁদ বিশ্ব
চেষ্টা ছিল। স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এরপরও কোথাও যেনএকটা ফাঁক থেকে যাচ্ছিল আইসল্য়ান্ডের। যে লড়াই আর ফুটবল আচরণে ঝাঁঝ-এর জন্য গত কয়েক বছরে বিশ্ব ফুটবলে নিজের জাত চিনিয়েছিল আইসল্যান্ড এদিন তার অনেকটাই অমিল
চেষ্টা ছিল। স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এরপরও কোথাও যেনএকটা ফাঁক থেকে যাচ্ছিল আইসল্য়ান্ডের। যে লড়াই আর ফুটবল আচরণেক ঝাঁঝ-এর জন্য গত কয়েক বছরে বিশ্ব ফুটবলে নিজের জাত চিনিয়েছিল আইসল্যান্ড এদিন তার অনেকটাই অমিল ছিল। ফলে যা হওয়ার তাই হল। ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে শুধুই বিদায় নেওয়াই নয়,আর্জেন্তিনার যাত্রা ভঙ্গ করে যে ইতিহাস তৈরির সুযোগটা ছিল তাও হাতছাড়া করল আইসল্যান্ড।
এদিন গ্রুপ ডি-তে আইসল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে মেতে ওঠে। যদিও, খেলার একদম শুরুতেই আইসল্যান্ড যেভাবে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠছিল তাতে মনে হচ্ছিল ক্রোয়েশিয়ার ছবির মতো পরিকল্পনামাফিক ফুটবলের দফারফা করতে তৈরি আইসরা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগও নষ্ট করে আইসল্যান্ড।
ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপারের অনবদ্য গোলরক্ষায় আইসল্যান্ডের আক্রমণ বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছিল। ক্রোয়েশিয়াও এই সময় বেশকিছু গোলের সুযোগ মিস করেছিল। কিন্তু, তা বলে সেগুলি কখনই আইসল্যান্ডের আক্রমণের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। যার জেরে গোলশূন্যভাবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ৫৩ মিনিটে সুন্দর ওয়াল খেলতে খেলতে ৫৩ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার মিলান বাদেউ-এর অসামান্য বুদ্ধিমত্তায় আইসল্যান্ডের জালে বল। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।
এরপরই দুই দলই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে নামে। কিন্তু, বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ছোটখাটো ভুল করে ফেলে আইসল্যান্ড। যার ফায়দা তোলে ক্রোয়েশিয়া। ৭৩ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার বক্সে সেদেশের লোভানেন-এর হাতে বল লেগেছিল। পেনাল্টি থেকে জালে বল গলাতে কোনও ভুল করেননি আইসল্যান্ডের জি সিগার্সন।
আইসল্যান্ডের এই সমতা ফেরানোর খেলা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ, ৯০ মিনিটে অসাধারণ ওয়াল খেলতে খেলতে আইসল্যান্ডের বক্সে ঢুকে পড়েন ক্রোয়েশিয়ায় পারিসিক। অসাধারণ এক শটে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ব্যবধানও বাড়ান তিনি। শেষমেশ ২-১ গোলে আইসল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ-ডিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখে ক্রোয়েশিয়া।