ভারতীয় ক্রিকেটের রূপরেখা বদলে দেওয়ার লড়াইয়ে মিতালি-ঝুলনদের বাজি করছেন প্রাক্তনরা
স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ভারতীয় মেয়েরা, স্বপ্ন দেখছি আমরা, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
লর্ডস-এর বুকে আরও এক ইতিহাস তৈরির হাতছানি ভারতের সামনে। এই মাঠেই ভারতের পুরুষদের ক্রিকেট দল কপিল দেবের নেতৃত্বে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর এবার সেই লডস-এর বুকেই ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের সামনে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। বলতে গেলে এই মুহূর্তে ১২০ কোটির ভারতবাসীকে ফের একবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মিতালি রাজরা। ২০১৭-র মহিলা বিশ্বকাপে যেভাবে মিতালি ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাতে গর্বিত গোটা দেশ। তবে কী পুরোটাই আবেগ, যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করলে কী সম্ভবনা উঠে আসছে? কী বলছেন প্রাক্তন ভারতীয় ও বাংলার ক্রিকেটাররা? তাঁদের অভিজ্ঞ চোখ কী বলছে? দীপ দাশগুপ্ত, সম্বরণ বন্দোপাধ্যায়, বরুণ বর্মনদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলল ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা।
দীপ
দাশগুপ্ত---
'এটা
আমার
কাছে
অনেকটা
১৯৮৩
-র
বিশ্বকাপ
ফাইনালের
মত।
ওই
ম্যাচটা
ভারতীয়
ক্রিকেটের
ইতিহাসে
একটা
গেমচেঞ্জার।
একটা
পুরো
প্রজন্ম
এই
ঘটনায়
মোটিভেট
হয়েছিল।
যদি
রবিবার
মিতালি-ঝুলনরা
ম্যাচ
জিততে
পারে,
তাহলে
এটাও
একটা
গেমচেঞ্জার
হবে।
মেয়েদের
ক্রিকেট
ভারতে
পুরো
বদলে
যাবে।
আগে
মেয়েদের
ক্রিকেটে
কম
এক্সপোজার
ছিল,
কম
দেখানো
হত।
যদি
লর্ডসে
নতুন
ইতিহাস
তৈরি
হয়
তাহলে
মেয়েদের
ম্যাচের
সংখ্যা
বাড়বে।
একটা
নতুন
প্রজন্ম
ক্রিকেট
খেলতে
অনুপ্রাণিত
হবে।
ফাইনালে সুযোগ কতটা ?'
নিশ্চয় সুযোগ তো আছেই। শুরুতেই ভারতীয় মেয়েরা দুটো বিশ্বকাপ জয়ের দাবিদার দলকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল। এ অবধি সেরা চার দলের তিনটি দলকেই হারিয়েছে তারা। পারফরমেন্স সেটাই যেটাতে বিশ্বাস আছে। ভারতীয় মেয়েরা বিশ্বাস করছে তারা পারে। আর সেটাই করে দেখাচ্ছে। ভারতীয় দলে আছেন মিতালি রাজের মতো বিশ্বকাপের সেরা রান সংগ্রহকারী ক্রিকেটার। রয়েছেন একতা বিস্ত, রাজেশ্বরী গায়েকোয়াড়-এর মতো সেরা উইকেট শিকারী বোলাররা। দলে পোটেনশিয়াল আছে। আর আমার মতে প্রথম দুটি ম্যাচই গোটা দলকে বদলে দিয়েছে।'
সম্বরণ
বন্দোপাধ্যায়--
'খুবই
প্রতিভাবান
দল।
মেয়েদের
ক্রিকেটটা
দীর্ঘদিন
অবহেলিত
ছিল।
আমার
কোচিং
ক্যাম্পের
পাশেই
ওঁরা
অনুশীলন
করত।
আমি
দেখেছি
কত
কষ্ট
করত।
এখন
বিসিসিআই
দায়িত্ব
নেওয়ার
পর
পুরো
বিষয়টা
অনেকটা
বদলেছে।
রবিবারের
ম্যাচে
ওঁরাই
জিতবে।
দলের
ফিটনেস
লেভেলও
দারুণ।
আসলে
ক্রিকেটের
মত
খেলায়
দলের
প্রত্যেকের
অবদান
রাখাটা
জরুরি,
এখন
ওঁরা
সকলেই
সেটা
করছে।
টিমগেম
সবচেয়ে
বড়
জিনিস।
তাই
ওঁরা
এত
ভাল
করছে।
আমি বলব না , দুটো একদমই আলাদা পরিস্থিতি। ওটা ৬০ ওভারের খেলা ছিল। এখন ভারতীয় মহিলা দল সেরা চারটে দলের মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৩ সালে কিন্তু কপিলের ভারত সে জায়গাটায় ছিল না। বুকিদের দর ১ -এ ২২১ ছিল। ভারতীয় মেয়েরা কিন্তু তার থেকে অনেকটা ভাল জায়গায় রয়েছে।'
বরুণ
বর্মণ--
'অসাধারণ
পারফরম্যান্স।
১২
বছর
বাদে
ফের
বিশ্বকাপ
ফাইনালে
ভারতীয়
মেয়েরা।
বাচ্চা
মেয়েরা
সব
যা
দারুণ
খেলছে
তাতে
সত্যিই
গর্ব
অনুভব
হচ্ছে।
খেলার
ধরণ
দেখে
কোনওভাবেই
মনে
হচ্ছে
না
যে
মিতালি,
স্মৃতি
মান্ধনা,
হরমনপ্রিত
কওর,
কৃষ্ণমূর্তি,
একতা
বিস্ত,
রাজেশ্বরী
গায়েকোয়াড়,
ঝুলন
গোস্বামীরা
পুরুষ
ক্রিকেটারদের
থেকে
কোনও
অংশে
পিছিয়ে
আছে।
বডি
ল্যাঙ্গোয়েজেও
দারুণ
আস্থা
ঝলক
দিচ্ছে।
প্রতিটা
মেয়ে
দারুণ
উজ্জীবিত
রয়েছে।
ওঁদের
কোচকেও
ধন্যবাদ
যিনি
এঁদের
মধ্যে
এই
বিশ্বাসটা
তৈর
করে
দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার
বিরুদ্ধে
যাঁরা
২৮১
করতে
পারে
তারা
সবকিছু
করার
ক্ষমতা
রাখে।
ফাইনালেও
এই
স্পিরিটটা
যেন
থাকে।
দলে
ভাল
পেসার-স্পিনার
রয়েছে।
পাশাপাশি
দারুণ
টিম
স্পিরিট
রয়েছে।'