দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে যে যে কারণে হারতে হল কলকাতাকে
জেনে নিন, কী কী কারণে এসআরএইচের কাছে হারতে হল কলকাতাকে।
আশা জাগিয়ে শুরু করেও খালি হাতেই ২০১৮ আইপিএল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে(কেকেআর)। প্লে-অফে জাগায় করাও পরও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৩ রানে হেরে আইপিএলের ফাইনালের আশা ত্যাগ করতে হয়েছে শাহরুখ খানের দলকে।
শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৪ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৬০ রান তুলতে সক্ষম হয় কেকেআর।
কিন্তু
দারুণ
ছন্দে
থাকা
কেকেআর
ঘরের
মাঠে
অপ্রত্যাশিত
ভাবে
হারল
কী
ভাবে।
বিশেষ
করে
যেখানে
লিগের
ম্যাচে
মাস্ট
উইন
গেমে
সানরাইজার্স
হায়দরাবাদকে
তাদের
ঘরের
মাঠে
গিয়ে
হারিয়েছিল
কেকেআর।
আঁতোস
কাঁচের
তলায়
দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ার
ম্যাচটিকে
রাখলে
কেকেআর-এর
হারের
নেপথ্য
উঠে
আসছে
পাঁচটি
কারণ।
প্রথমত, কেকেআর এর বোলাররা ম্যাচের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে বোলিং করলেও শেষের দিকে গিয়ে ম্যাচের উপর সেই রাশ বজায় রাখতে পারেনি। যার সুযোগ নেন আফগানিস্তানের 'ওয়ান্ডার কিড' রশিদ খান। ১০ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও খেলেন রশিদ খান। শেষ ওভারে ২৪ রান করেন রাশিদ। এই খানেই ম্যাচের উপর নিয়ন্ত্রণ অনেকটা হারিয়ে ফেলে কেকেআর।
দ্বিতীয়ত, বিগত বেশ কয়েকটি ম্যাচে দুরন্ত বোলিংয়ে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা জয় করে নিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। তাঁর উপর মেগা ম্যাচের শেষ ওভারের দায়িত্ব দেনে কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে চাপের মুহূর্তে নিজের বোলিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি প্রসিদ্ধ। শেষ ওভারে ২৪ রান দেওয়ার পাশাপাশি মোট ৪ ওভারে খরচ করেন ৫৬ রান।
কেকেআর-এর
হারের
তৃতীয়
এবং
অন্যতম
কারণ
হিসেবে
তুলে
ধরা
যায়
মিডিল
অর্ডারের
ব্যর্থতাকে।
দীনেশ
কার্তিক,
আন্দ্রে
রাসেল,
রবীন
উথাপ্পা
এবং
নীতিশ
রানাদের
নিয়ে
তৈরি
মিডিল
অর্ডার
প্রয়োজনীয়
সময়েই
চরম
ফ্লপ।
দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ার
ম্যাচে
এই
চার
জনের
মিলিত
সংগ্রহ
৩৫
রান।
যার
মধ্যে
২২
রান
একা
করেন
রানা।
সানরাইজার্স
হায়দরাবাদের
বিরুদ্ধে
কলকাতা
নাইট
রাইডার্সের
হারের
শেষ
এবং
প্রধান
কারণ
নিঃসন্দেহে
রশিদ
খান
এবং
সাকিব
আল
হাসানের
যুগলবন্দী।
ইডেন
গার্ডেন্সের
স্পিন
সহায়ক
উইকেটে
এই
দুই
জনেই
এদিন
দারুণ
পারফর্ম
করেন।
তিনটি
উইকেট
নেন
রশিদ।
একটি
উইকেট
নেন
সাকিব
আল
হাসান।