ইডেনে কোন চার মোক্ষম স্ট্র্যাটেজিতে আজ দিল্লিকে আটকাতে পারে নাইটরা
পেস বোলিং আক্রমণের অবস্থা বিশেষ সুবিধার নয়। তিনটি ম্যাচ খেলে পরপর দুটিতে হেরে কিছুটা কোণঠাসা নাইট রাইডার্স। এই অবস্থায় দিল্লির বিরুদ্ধে কোন পথে জয়ে ফিরতে পারে কলকাতা?
পেস বোলিং আক্রমণের অবস্থা বিশেষ সুবিধার নয়। তিনটি ম্যাচ খেলে পরপর দুটিতে হেরে কিছুটা কোণঠাসা নাইট রাইডার্স। এই অবস্থায় দিল্লির বিরুদ্ধে কোন পথে জয়ে ফিরতে পারে কলকাতা? দিল্লির বিরুদ্ধে রেকর্ড খুব একটা খারাপ নয় কেকেআর-এর। ১৯টি ম্যাচ খেলে ১২টিতে জিতেছে নাইটবাহিনী। দিল্লি জিতেছে ৭টিতে। তবে পরপর দুটি ম্যাচে হার ও উল্টোদিকে প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের উপস্থিতি কিছুটা পরিস্থিতি ঘোরালো করে দিয়েছে। এই অবস্থায় কোন চার স্ট্র্যাটেজিতে জয়ে ফিরতে পারে কেকেআর। জেনে নেওয়া যাক।
স্পিন আক্রমণ
কলকাতার হাতে তিনজন জবরদস্ত স্রিনার রয়েছেন। সুনীল নারিন, পীযূষ চাওলা ও কুলদীপ যাদবরা প্রতি ম্যাচেই ভালো বল করছেন। ইডেনের পিচে এরা তিনজনেই অনেক বছর ধরে বল করছেন। ফলে জানেন কি করতে হবে। আগের ম্যাচেও মাত্র ১৩৮ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করে ১৯তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে গিয়েছে এই স্পিন জুটি। আজ ব্যাটসম্যানরা বড় রান করলে আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে নারিনরা বল করতে পারবেন।
ওপেনে নারিন-লিন জুটি
প্রথম দুটি ম্যাচে সুনীল নারিন ওপেন করতে নেমেছিলেন ক্রিস লিনের সঙ্গে। তৃতীয় ম্যাচে নারিনকে নামানো হয়নি। পুরো রান তোলার ছন্দটাই যেন কেটে গিয়েছিল। ফলে তাড়াতাড়ি আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও নারিনকে আগেই নামাক কলকাতা। নারিনের ১০ বলে ৩০ রানের ইনিংসও কলকাতাকে মানসিকভাবে এগিয়ে দেবে।
দিল্লির বিদেশিদের স্পিন আক্রমণ
দিল্লি দলে গৌতম গম্ভীরের মতো ভালো স্পিন খেলা ব্যাটসম্যান থাকলেও পাশাপাশি জেসন রয়, ক্রিস মোরিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো বিদেশিরা রয়েছেন। যারা পেস বোলিংয়ে যতটা স্বচ্ছ্বন্দ, ততটা স্পিন বোলিং খেলতে স্বচ্ছ্বন্দ নন। ফলে দিল্লির বিদেশি খেলোয়াড়দের স্পিন অস্ত্রেই ঘায়েল করতে হবে কলকাতাকে। নিয়মিত উইকেট তুলতে পারলেই দিল্লি চাপে পড়ে যাবে।
স্লগ ওভারে রান আটকানো
কলকাতার বোলাররা, বিশেষ করে পেসাররা একেবারেই নিষ্প্রভ থেকেছেন প্রথম তিন ম্যাচে। চেন বোলার বলতে রয়েছেন মিচেল জনসন, আন্দ্রে রাসেল ও বিনয় কুমার। তবে তিনজনই স্লগ ওভারে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের হাতে প্রচুর মার খেলেছেন। ফলে কলকাতারে ম্যাচে ভালো করতে গেলে পেস বোারদের স্লগ ওভারে ভালো বল করতেই হবে। ডেথ ওভারে যত কম রান কলকাতা দেবে, ততই জেতার সম্ভাবনা বাড়বে।