ভারত অধিনায়ক থেকে বিসিসিআই সভাপতি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেরিয়ার দেখে নিন এক নজরে
কোনও অঘটন না ঘটলে বিসিসিআই-র নতুন সভাপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন ৪৭ বছরের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতের অন্যতম সফল ক্রিকেট অধিনায়ক থেকে প্রশাসক, এক নজরে দেখে নিন মহারাজের বর্ণময় ও লড়াকু কেরিয়ার।
কোনও অঘটন না ঘটলে বিসিসিআই-র নতুন সভাপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন ৪৭ বছরের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতের অন্যতম সফল ক্রিকেট অধিনায়ক থেকে প্রশাসক, এক নজরে দেখে নিন মহারাজের বর্ণময় ও লড়াকু কেরিয়ার।
শাহরুখ খান - ঐশ্বর্য রাই বচ্চন
২০০০ সালে যোশ ছবিতে শাহরুখ খান ও ঐশ্বর্য রাইকে ভাই বোনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। পরে এই দুজনকে মহেব্বতে, দেবদাস-এর মতো ছবিতে প্রেমিক-প্রেমিকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
১৯৯২-র ব্যর্থতা
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফররত ভারতের একদিনের দলে ডাক পান তরুণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। ব্রিসবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৩ রান করে আউট হন মহারাজ। সৌরভকে ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাঁর নামের পাশে 'অবিনয়ী' তকমা জুড়ে যায়।
দীপিকা পাডুকোন - জন আব্রাহাম
রেস ২ ছবিতে দীপিকা পাডুকোন ও জন আব্রাহামকে ভাই-বোনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। আবার এই জুটিকেই দেসি বয়েজ ছবিতে প্রেমিক প্রেমিকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন
এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও রান করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ড সফররত ভারতীয় দলে ফের ডাক পান মহারাজ। লর্ডসে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে সৌরভের ব্যাট থেকে আসা শতরান ক্রিকেট বিশ্বের সম্পদ। সিরিজের পরের টেস্টেও শতরান করেন মহারাজ। এরপর ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা পাকা হয়।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া - রণবীর সিং
গুন্ডে ছবিতে রণবীর সিংয়ের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। আবার এই প্রিয়াঙ্কা ও রণবীরকে দিল ধড়কনে দো ছবিতে দেখা গিয়েছে ভাই-বোনের চরিত্রে অভিনয় করতে।
২০০০-এ অধিনায়ক
ম্যাচ ফিক্সিং ও বেটিং কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাছা হয় তরুণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শক্ত হাতে তিনি সেই দলের হাল ধরেন। যুবনীতি আমদানি করে ভারতীয় দলকে সাফল্যের রাস্তায় ফিরিয়ে আনেন বাংলার মহারাজ। তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় দলে হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেহবাগ, যুবরাজ সিং, মহম্মদ কাইফ, জাহির খান, এমএস ধোনি, ইরফান পাঠান, গৌতম গম্ভীরের মতো তারকা ক্রিকেটারদের ভারতীয় দলে সুযোগ পান। মহারাজের নেতৃত্বেই ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের নির্মাতা সৌরভকেই ধরা হয়ে থাকে।
দীপিকা পাডুকোন - অর্জুন রামপাল
জন আব্রাহাম ছাড়াও দীপিকা অর্জুন রামপালের সঙ্গে ওম শান্তি ওম ছবিতে রোমান্স করেছেন আবার হাউসফুল ছবিতে তাঁরই ছোট বোন হয়েছেন।
চ্যাপেল অধ্যায়
২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেলকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ করার জন্য মত দেন তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই চ্যাপেলের সঙ্গে সংঘাত বাঁধে মহারাজের। এর জেরে তাঁকে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব হারাতে হয়। সৌরভকে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়।
অক্ষয় কুমার - জুহি চাওলা
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অনস্ক্রিন জুটি ছিলেন অক্ষয় কুমার ও জুহি চাওলা। মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খিলাড়ি ছবিতে এরা রোমান্স করেছেন আবার এক রিস্তা ছবিতে এঁরাই ভাই-বোন সেজেছেন।
ফিরে আসা এবং অবসর
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ফের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। রঞ্জি ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে ২০০৭ সালে ফের ভারতীয় দলে ডাক পান মহারাজ। এরপরের এক বছর ৬১.৪৪-র গড়ে টেস্টে ১১০৬ রান করেন সৌরভ। তার মধ্যে তিনটি শতরান (একমাত্র দ্বিশতরান) ও চারটি অর্ধ শতরান আসে মহারাজের ব্যাট থেকে। ওয়ান ডে-তে ৪৪.২৮-র গড়ে ১২৪০ রান করেন সৌরভ। ২০০৮ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন বাংলার মহারাজ।
ঐশ্বর্য রাই - অমিতাভ বচ্চন
সবচেয়ে চমকপ্রদ জুটি হয়তো এটিই। বাস্তব জীবেন অমিতাভ বচ্চনের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই হাম কিসি সে কম নহি ছবিতে তাঁর বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আবার বান্টি অউর বাবলি ছবির সুপারহিট কাজরারে গানে শ্বশুর অমিতাভের সঙ্গে ফ্লার্টও করেছেন।
প্রশাসক
শুরুর দুই বছর সিএবি-র যুগ্ম সচিব পদে কাজ করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে সিএবি-র সভাপতি থাকাকালীনই প্রয়াত হন বিসিসিআই ও আইসিসি-র প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া। এরপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি বাছা হয়।
হেমা মালিনী - অমিতাভ বচ্চন
গহরি চাল ছবিতে অমিতাভের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হেমা মালিনী। হেমা মালিনীর প্রেমিকের চরিত্রে অমিতাভ অভিনয় করেছেন এমন অনেক ছবি রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সত্তে পে সত্তা, বাগবান, বাবুল ইত্যাদি।
জিনাত আমন - দেব আনন্দ
বি টাউনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাইবোনের জুটি দেব আনন্দ-জিনাতেরই বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না। হরে রাম হরে কৃষ্ণ ছবিতে এরা ভাই বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আবার হেরাফেরি-সহ একাধিক ছবিতে জিনাত ও দেব আনন্দ প্রেমিক-প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
জুহি চাওলা - সঞ্জয় সুরি
মাই ব্রাদার নিখিল ছবিতে যেখানে সঞ্জয় সুরিকে জুহি চাওলার বোনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। সেখানে ঝঙ্কার বিটস ছবিতে জুহি চাওলাকে সঞ্জয় সুরির সঙ্গে রোমান্স করতেও দেখা গিয়েছে।
সলমন খান - নিলম কোঠারি
সবশেষে নিলম কোঠারি ও সলমল খান। হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবিতে দুজনকে ভাইবোনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। আবার এক লডকা এক লডকি ছবিতে একে অপরের সঙ্গে রোমান্স করতেও দেখা গিয়েছে।