নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে গৌতম গম্ভীর বনাম এমএসকে প্রসাদের যু্দ্ধে সরগরম ক্রিকেট
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে গৌতম গম্ভীর বনাম এমএসকে প্রসাদের যু্দ্ধে সরগরম ক্রিকেট
ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিসিসিআই-র প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদের সঙ্গে কথার যুদ্ধে জড়িয়েছেন দেশের প্রাক্তন সফল ওপেনার গৌতম গম্ভীর। অনেকগুলি ইস্যু নিয়ে প্রসাদের সঙ্গে তর্ক হয়েছে গৌতির, যা নিয়ে দেশের ক্রিকেট মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।
নির্বাচন পদ্ধতিতে অধিনায়ক ও কোচ
ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর গরমিলের অভিযোগ এনেছেন দেশের প্রাক্তন সফল ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তাঁর কথায়, যা পরিস্থিতি তাতে শুধু নির্বাচকদের ওপর ভরসা করে থাকলে হবে না, দলের অধিনায়ক এবং কোচকেও নির্বাচন পদ্ধতিতে সামিল করা উচিত। তাঁদেরও ভোটাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করেন গম্ভীর। একই সঙ্গে দলের প্রথম একাদশ নির্বাচনে, নির্বাচকদের কোনও ভূমিকা থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন গৌতি। জবাবে এমএসকে প্রসাদের দাবি, জাতীয় দলের নির্বাচন পদ্ধতিতে অধিনায়ক নিজের মতামত জানাতে পারেন। কিন্তু বিসিসিআই-র নিয়ম অনুযায়ী তিনি বৈঠকে ভোট দিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান।
২০১৯ বিশ্বকাপের দল নির্বাচন
২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গৌতম গম্ভীর। টুর্নামেন্ট জুড়ে ভারতীয় দলের ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর স্থানের অস্থিতিশীলতার জন্য এমএসকে প্রসাদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলকেই দায়ী করেছেন গৌতি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে আসা ওই ভারতীয় দলে আম্বাতি রায়ডুকে প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন গম্ভীর। তাঁর বক্তব্য, দুই বছর ধরে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর স্থানে দাপটের সঙ্গে খেলা রায়ডুর সঙ্গে নির্বাচকরা অবিচার করেছেন। এমএসকে প্রসাদের জবাব, তিনি ওই দলে অল রাউন্ডারকে সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটার
গৌতম গম্ভীর মনে করেন, দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনও ব্যক্তিকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকের আসনে বসানো উচিত। এই স্তরে যে যত বেশি ক্রিকেট খেলবেন, তিনি ক্রিকেটারদের তত ভাল বুঝবেন বলে মনে করেন গৌতি। নির্বাচক এবং ক্রিকেটারের মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ হওয়া উচিত বলে মনে করেন ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য।
শ্রীকান্তের বক্তব্য
গৌতম গম্ভীর এবং এমএসকে প্রসাদের বক্তব্য মন দিয়ে শোনার পর দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা নির্বাচক প্রধান কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, যুযুধান কাউকেই সমর্থন করেননি। কেবল বলেছেন, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।
প্রাক্তন এটিকে তথা মোহনবাগানের কোন গোলরক্ষকের সঙ্গে কথা চলছে ইস্টবেঙ্গলের?