দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হার, ভারতীয় এক ক্রিকেটারের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন গাভাসকরের
ভারতীয় দলের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সুনীল গাভাসকর। চাঁচাছোলা ভাষায় যজুবেন্দ্র চাহালকে আক্রমণ করেছেন লিটল মাস্টার।
ওয়ান্ডারার্সে ম্যাচে যখন ভারতীয় দল সিরিজ পকেটে পুড়ে নেওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ক্রিকেট খেলতে নেমেছিলেন, তখন সেই ম্যাচে ফের একবার জাত চেনান দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। পিঙ্ক প্রোটিয়ারা নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে বুঝিয়ে দেন কেন একদিনের ক্রিকেটে তাঁরা এক নম্বর।
[আরও পড়ুন:ফিল হিউজের মৃত্যুর মতো ট্র্যাজেডি ক্রিকেট মাঠে, মৃত্যু দৃষ্টিহীণ শিশুর]
তবে এই ম্যাচে ভারতীয় দল নিজেও কিছু ভুল করেছিল। অধিনায়ক বিরাট কোহলিও জানিয়েছিলেন, যে ভুলগুলি তাঁরা দল হিসেবে করেছেন তারপর ম্যাচ জেতার সুযোগ তাঁরা হারিয়েছেন। কিন্তু এরপর ভারতীয় দলের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সুনীল গাভাসকর। চাঁচাছোলা ভাষায় যজুবেন্দ্র চাহালকে আক্রমণ করেছেন লিটল মাস্টার।
সেদিনের ম্যাচে এ বি ডিভিলিয়ার্স ও ডেভিড মিলার যখন ব্যাট করছিলেন সেই সময়েও ম্যাচ তুল্য মূল্য ছিল। কিন্তু এরপর চাহালের বলে বোল্ড হয়ে যান মিলার। কিন্তু বলটি নো বল হওয়ায় প্রাণ পান মিলার। এরপরেই তিনি মারাত্মক হয়ে ওঠেন। এতেই চটেছেন সুনীল গাভাসকর।
গাভাসকর বলেছেন, 'আমার কাছে সেই নো বলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ডেভিড মিলার ক্লিন বোল্ড হয়ে গিয়েছিল। তারপর যেভাবে ও ফিরে এল সেটাই ম্যাচ বদলে দিয়েছে। '
সানি আরও বলেন, 'আমি যদি সৎভাবে বলি তাহলে আজকের দিনের ক্রিকেট যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার করা সম্ভব সেখানে সেখানে নো বলের কোনও জায়গা নেই। ওয়াইড বল তবুও হয়ে যেতে পারে, তাও সেক্ষেত্রেও এখন আম্পায়ররা খুব কড়া, তাই সেটাও না করার চেষ্টা করা উচিত। অন্যদিকে যদি নো বল হয় তাহলে একটা ফ্রি হিট পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তো কোনওভাবেই সেই বল করা উচিত নয়। '
জোরে বোলার -রা নো বল করতে পারেন, কিন্তু স্পিনার কী করে নো বল করেন এটাই প্রশ্ন তুলেছেন সানি। তাঁর কথায় এটা অমার্জনীয় অপরাধ। গাভাসকর সরাসরি তোপ দেগে বলেছেন, 'পরিষ্কারভাবে এটা পেশাদারিত্বের অভাব। হয়তো বা ৩-০ হওয়ার পর ভারতীয় দলের মধ্যে একটা আত্মতৃপ্তি চলে এসেছিল। আর ভারতীয়দের এই রিল্য়াক্সের সুযোগটাই তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। '
[আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল বনাম রঞ্জিত বাজাজ সংঘাত তুঙ্গে, বল গড়ানোর আগে বিতর্কে চরমে]