আইপিএলে প্রত্যাবর্তন! ফুরিয়ে যাননি ফের শতরান করে বোঝালেন গেইল
ফুরিয়ে যাননি। নতুন করে আইপিএলে প্রত্যাবর্তন করে বুঝিয়ে দিলেন ক্রিস গেইল।
৩৮-এও ফুরিয়ে যাননি। নতুন করে আইপিএলে প্রত্যাবর্তন করে বুঝিয়ে দিলেন ক্রিস গেইল। আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ৬৩ রান করার পরে এদিন অপরাজিত শতরান করলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। শেষ অবধি ৬৩ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
আগের দুটি মরশুম ভালো খেলতে পারেননি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। দুই মরশুম মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৪২৭ রান। গড় ২২-এর কিছু বেশি। যা তাঁর মানের খেলোয়াড়ের জন্য কিছুই নয়। সঙ্গে বয়সও বাড়ছে। তাই ৩৮ বছরের ক্রিস গেইলকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবছর নিলামে কেনেনি আরসিবি।
আরসিবি অধিনায়ক কোহলি দল নির্বাচন নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, আগামী তিন বছরের কথা ভেবে দল নির্বাচন করা হয়েছে। সম্ভবত সেজন্যই 'বুড়ো' গেইল বাদ গিয়েছেন। এটাই প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এবারের নিলামে প্রথমবারে গেইলকে কেউ কিনতে চাননি। পরের দিকে ২ কোটি টাকার বেস প্রাইসে গেইলকে কিনে নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথম দুটো ম্যাচে খেলানো হয়নি। তৃতীয় ম্যাচে নেমেই চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বুঝিয়ে দেন, টি২০-তে তিনিই সর্বকালের সেরা। করেন ৩৩ বলে ৬৩ রান।
গেইলের দাপটে ১৯৭ রান করে পাঞ্জাব। শেষ অবধি ম্যাচ জেতে ৪ রানে। তখন থেকেই ফের একবার ক্রিস গেইলকে নিয়ে উন্মাদান শুরু হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে।
ঠিক এভাবেই কেকেআর থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে এসে প্রথম বছরেই জ্বলে উঠেছিলেন গেইল। ২০০৯-২০১০ সালে কলকাতায় খেলার পরে ২০১১ সালে আরসিবি গেইলকে কিনে নেয়। সেবছর কলকাতার বিরুদ্ধে শতরান করেন গেইল। শুধু তাই নয়, ১২ ম্যাচে ৬৭.৫৫ গড়ে ৬০৮ রান করেন ইউনিভার্স বস।
আর এবারও সেরকমই পরিস্থিতি ছিল। আরসিবি থেকে পাঞ্জাবে এসে ফের যেন নিজেকে প্রমাণ করলেন গেইল। দুই ম্যাচ বসে থাকার পরে নেমেই অর্ধশতরান ও তারপরে এদিন শতরান। এবং সবচেয়ে বড় কথা সেই একই রকমের বিধ্বংসী স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে গেইল খেলছেন। যা এই মরশুমে পাঞ্জাবকে খুশি করতেই পারে। এবং একইসঙ্গে ভাঁজ ফেলতে পারে বাকী দলগুলির অধিনায়কের কপালে।