ডিপ্রশনে ডুবে গিয়েছিলেন স্টিভ হার্মিসন। কী করতে গিয়েছিলেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার
আন্তর্জাতিক এক ক্রিকেট তারকা, ভেঙে পড়েছিলেন একসময়। হারিয়ে ফেলেছিলেন মনের সব জোর। কে তিনি, কী বা করতে গিয়েছিলেন।
স্টিভ হার্মিসন, ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ২২৬ টেস্ট উইকেটের মালিক। ইংল্যান্ডের বিগত ২০ বছরের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় । তিনিও নাকি অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। তাও আবার কেরিয়ারের মধ্যগগনে।
২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে নিয়েছিলেন চরম সিদ্ধান্ত। ভাবতে পারছেন, ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। নিজেকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই মিডিয়াম পেসার। নিজের আত্মজীবনীতে এই কথা স্বীকার করে চমকে দিয়েছেন তিনি।
স্পিড ডেমনস নামে নিজের আত্মজীবনিতে এই চমকপ্রদ তথ্য স্বীকার করে নিয়েছেন হার্মিসন। ২০০৪ সালে হার্মিসন টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর বোলার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেসময় টানা সাতটি টেস্ট জিতে চনমনে ছন্দে ছিল ইংল্যান্ড দল। নিজের কেরিয়ারে বোলার হিসেবে দুরন্ত ফর্মে থাকা হার্মিসনের ঝোলায় ছিল ৩৮ টি উইকেট। কিন্তু মাঠের বাইরে দারুণ অস্বস্তিতে ছিলেন তিনি। বিভিন্ন অচেনা অস্বস্তি ঘিরে ধরছিল তাঁকে। ইংলিশ গ্রীষ্মের মধ্যে তিনি ডুবে যাচ্ছিলেন গভীর অন্ধকারে। এই অস্বস্তি এতটাই প্রকট ছিল যে দলের সঙ্গে তাঁকে থাকতে দিচ্ছিল না। তাঁকে বাড়ির দিকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছিল। হার্মিসন লিখেছেন সেই অজানা অবসাদ গুলি তাঁকে আষ্টেপৃষ্টে ধরছিল।
হার্মিসনের স্বীকারোক্তি এই অবসাদ যদি একবার আঁকড়ে ধরে তাহলে তুমি কোটিপতি, সফল চিকৎসক, পাইলট কিম্বা বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট বোলার যাই হও না কোনও মুক্তি নেই। এই সময়ে দলের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ভাবনাও জানিয়েছিলেন। তাঁর মনে হত নিজেকে শেষ করে দিতে পারলেই এই অন্ধকার শেষ হবে। এরকম অবসাদ বা হোম সিকনেসের প্রথম শুরু ১৯৯৬ সালে। যখন অনুর্ধ্ব ১৯ ইংল্যান্ড দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন তাঁরা। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সফর চলাকালীন তিনি মাঝপথেই ফিরে এসেছিলেন।
আধুনিক ক্রিকেটে যে ধরণের চাপ থাকে তাতে বিভিন্ন সময়েই ক্রিকেটাররা অবসাদে থাকেন। এমনকি মার্ক ট্রেসকোথিক, মন্টি পানেসর, জোনাথন ট্রটরাও এধরণের অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।