আইপিএল ফাইনালে দুই দলের তুরুপের তাস কারা, জেনে নিন
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১৮ আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি এসআরএইচ এবং সিএসকে। দুই দলেই একাধিক এমন ক্রিকেটার আছে যারা নিজেদের দক্ষতায় যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ ২০১৮ আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংস। জয় এবং পরাজয়, উভয়কে সঙ্গী করেই অবশেষে খেতাবি লড়াইয়ের সামনে দুই দল। গোটা টুর্নামেন্টেই এই দু'টি দল দারুণ ধারাবাহিকতার সঙ্গে খেলছে। মাঝে মাঝে ব্যর্থতা এই দুই দলকে ছুঁয়ে গেলেও, সাফল্য কখনও সঙ্গ ছাড়েনি। আর তারই ফলে আজ এই দুই দল সম্মুখ সমরে ২০১৮ আইপিএলের ফাইনালে।
এক ঝলকে দেখে নিন আজকের ম্যাচে এই দুই দলের বাজি হতে পারেন কারা
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:
কেন উইলিয়ামসন: ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সব থেকে বড় ভরসার নাম কেন উইলিয়ামসন। শুধু ব্যাটিং বা ফিল্ডিংয়েই নয়, যে ভাবে প্রতি মুহূর্তে অধিনায়ক হিসেবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তা অনবদ্য। স্রেফ নিখুঁত অধিনায়কত্ব করে কী ভাবে ম্যাচ বেড় করা যায় তা দেখিয়েছেন কেন। প্রথম এই জিনিস শুরু করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইনালে এসআরএইচের ভাগ্য নির্ভর করবে এই কিউয়ি নক্ষত্রের উপরই।
কার্লোস ব্র্যাথওয়েট: গত দুই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দলে সুযোগ পেয়েই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। কার্লোসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ফাইনালে অন্যতম ভরসা হতে চলেছে এসআরএইচের জন্য।
রশিদ খান: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মূল শক্তি লুকিয়ে রয়েছে তাদের বোলিং বিভাগে। যার নেতৃত্ব মূলত থাকে রশিদ খানের হাতে। রশিদের চার ওভারই অনেকটা ঠিক করে দেবে ফাইনালে ভাগ্য। ১৬ ম্যাচে মোট ২১টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। রশিদের ইকোনমি রেট ৬.৭৮।
শুধু বল হাতেই নয় ব্যাট হাতেও অনবদ্য রাশিদ খান। একার কাঁধে সানরাইজার্সের ইনিংসকে ১৭৪ রানের গণ্ডি ছুঁতে সাহায্য করেছিলেন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি একটি রান আউট করিয়েছিলেন এবং শেষ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ দু'টি ক্যাচও নিয়েছিলেন তিনি। ফলে রশিদের পারফরম্যান্সের উপর এই ম্যাচে নির্ভর করবে হায়দরাবাদের ভাগ্য।
সিদ্ধার্থ কল: এই মরসুমের আইপিএলে অন্যতম আবিস্কার সিদ্ধর্থ। নিজের পেস এবং গতির সৌজন্যে যে কোনও সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁরা। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সিএসকের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে রান হজম করতে হলেও তা ফাইনালে তাঁর দক্ষতার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে হয়। রশিদের মতোই ১৬ ম্যাচে ২১টি উইকেট আছে তাঁর ঝুলিতে।
ভুবনেশ্বর কুমার: ডেথ ওভারে ভুবির থেকে ভাল বোলার এই মুহূর্ত বিশ্ব ক্রিকেটে খুব কমই আছে। এখনও পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে ৯টি উইকেট নিয়েছেন ভুবি। তাঁর ইকোনমি রেট ৭.৯৯। ফলে ভুবনেশ্বর এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠতেই পারেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য।
চেন্নাই সুপার কিংস:
শার্দূল ঠাকুর: বড় নাম না হলেও এই আইপিএলে সিএসকের অন্যতম কার্যকারী ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন শার্দূল ঠাকুর। এখনও পর্যন্ত ১২ ম্যাচে মোট ১৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ফাইনালে সিএসকের বোলিং ইউনিটের দায়িত্ব অনেকটাই থাকবে শার্দূলের উপর।
ডোয়েন ব্র্যাভো: চলতি আইপিএলে একে বারেই নিজের চেনা ছন্দের ধারের কাছে না থাকলেও, নিজের দিনে যে কোনও দলকে একার দায়িত্বে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের। এখনও পর্যন্ত চলতি আইপিএলে ১৫ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন ব্র্যাভো। ফলে ফাইনালে ব্র্যাভো জ্বলে উঠলে অনেক হিসেব বদলে যেতে পারে।
লুঙ্গি এনগিডি: টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এসে দারুণ ছন্দে পাওয়া যাচ্ছে এই তরুণ প্রোটিয়া পেসারকে। এখনও পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১০টি উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি। এই ম্যাচে লুঙ্গির উপর অনেকটা নির্ভরশীল সিএসকের ভাগ্য।
ফাফ
দু
প্লেসি:
প্রথম
কোয়ালিফার
ম্যাচে
ফাফ
দু
প্লেসির
চওড়া
ব্যাটই
জয়
এনে
দিয়েছিল
চেন্নাইকে।
ফলে
ফাইনাল
ম্যাচেও
দু
প্লেসির
চওড়া
ব্যাটের
উপর
অনেকটাই
নির্ভর
করবে
চেন্নাইয়ের
ইনিংস।
মহেন্দ্র
সিং
ধোনি:
চেন্নাই
সারথী
ধোনি
এই
আইপিএলে
বেশ
ভাল
ছন্দেই
আছে।
ধোনিকে
যদি
পুরনো
ছন্দে
পাওয়া
যায়
তাহলে
ফাইনাল
ম্যাচে
অন্য
রূপে
পাওয়া
যেতেই
পারে
চেন্নাইকে।