মূলত এই কারণেই হারতে হল হায়দরাবাদকে
রবিবার ওয়াংখেড়েতে শেন ওয়াটসনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২০১৮ আইপিএল জিতে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। শুরুটা ভাল করেও ফাইনালে হারতে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দলকে।
রবিবার ওয়াংখেড়েতে শেন ওয়াটসনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২০১৮ আইপিএল জিতে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। শুরুটা ভাল করেও ফাইনালে হারতে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দলকে।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.৩ ওভারে জয় তুলে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।
কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টে এত ভাল খেলেও কেন হারতে হল হায়দরাবাদকে? যে বোলিং ইউনিট শক্তি ছিল হায়দরাবদের সেই বোলিং ইউনিটকে কী ভাবে ধ্বংস করল চেন্নাই ফাইনালে?
ফাইনাল ম্যাচ শেষ হতেই প্রশ্ন উঠে আসছে একাধিক। আর সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজতেই চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
সানরাইজার্স
হায়দরাবাদের
হারের
কারণ
পর্যালোচণা
করতে
গেলে
উঠে
আসবে
একাধিক
কারণ।
যা
আগের
ম্যাচগুলিতে
দেখা
গেলেও
সেই
ব্যর্থতা
ঢেকে
দিয়েছে
এসআরএইচের
অন্যান্যরা।
এক
নজরে
দেখে
নিন
যে
কারণে
হারতে
হল
সানরাইজার্স
হায়দরাবাদকে।
ঋদ্ধিমান সাহার চোট: দীর্ঘ দিন পর চোট থেকে ফিরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে বেশ ভাল ছন্দেই পাওয়া গিয়েছিল ঋদ্ধিকে। সেই ম্যাচে ওপেন করতে নেমে ৩৫ রান করেন তিনি। সেই ম্যাটে এসআরএইচের ওটাই ছিল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে ঋদ্ধি ফের চোট পাওয়ায় তাঁর সার্ভিস পায়নি দল। তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া শ্রীবতস গোস্বামী করেন ৫ রান। যা অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দেয় হায়দরাবাদকে।
ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা: ফাইনাল ম্যাচে ওপেনারদের থেকে বাড়তি দায়বদ্ধতা আশা করে যে কোনও দল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চরম ফ্লপ হয় হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। শ্রীবতস গোম্বামী ৫ রানে আউট হন। বড় রান করতে ব্যর্থ হন শিখর ধবনও। ২৫ বলে ২৬ রান করেন ধবন।
সিদ্ধার্থ কল-সন্দীপ শর্মার অফ ফর্ম: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই আইপিএলে মূল শক্তি লুকিয়েছিল বোলিং ইউনিটেই। যার অন্যতম দু'টি চরিত্র সিদ্ধার্থ কল এবং সন্দীপ শর্মা। কিন্তু এই দুই বোলারই এই চরম ব্যর্থ হন। দু'জনে মোট সাত ওভারে খরচ করেন ৯৫ রান। এই খানেই ম্যাচ হাত থেকে বেড়িয়ে যায় হায়দরাবাদের।
রশিদ খান-সাকিব আল হাসানের স্পিন জুট: সাকিব এবং রশিদ প্রধান দুই স্পিনার এসআরএইচের। রশিদ বেশি রান না খরচ করলেও একটি উইকেটও বার করতে পারেননি ফাইনাল ম্যাচে। পাশাপাশি সাকিবকে ১ ওভারের বেশি বল করাতে সাহস পাননি সানরাইজার্স অধিনায়ক। কারণ নিজের প্রথম ওভারেই ১৫ রান দেন সাকিব।