আইপিএল থেকে ভিভোর সরে যাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ব্যালেন্স শিটে কী প্রভাব ফেলবে
আইপিএল থেকে ভিভোর সরে যাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ব্যালেন্স শিটে কী প্রভাব ফেলবে
চলতি বছরের আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ভিভো। তা বিসিসিআইয়ের জন্য যেমন ধাক্কা, তেমনই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ব্যালেন্স শিটেও প্রভাব ফেলতে বাধ্য। সেই পরিসংখ্যানের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
ভিভো কথা
২০১৮ সালে আইপিএলের টাইটেল স্পনসরার হিসেবে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সই করে ভিভো। ২১৯৯ কোটি টাকা হিসেবে প্রতি বছর আইপিএল বাবদ বিসিসিআইকে ৪৩৯ কোটি টাকা দেয় চিনা সংস্থা। আদতে ২০১৬ সালে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে ভিভোর সম্পর্ক স্থাপতি হয়েছিল। আইপিএলের সহকারি স্পনসরার হিসেবে উদয় হয়েছিল চিনা সংস্থা। দুই বছরের হিসেবে প্রতি বছর বিসিসিআইকে ২০০ কোটি টাকা দিয়েছিল ভিভো।
টাইটেল স্পনসরশিপ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির লাভ
আইপিএলের ব্রডকাস্টার হিসেবে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সই করেছে স্টার। চুক্তির মূল্য ১৬৩৪৭.৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি বছর বিসিসিআইকে ৩২৭০ কোটি টাকা দিচ্ছে স্টার। অন্যদিকে ফি বছর ভারতীয় বোর্ডকে ৪৩৯ কোটি টাকা দেওয়ার কথা টাইটেল স্পনসর ভিভোর। সবমিলিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, তার ৬০ শতাংশ যায় বিসিসিআইয়ের পকেটে। ৪০ শতাংশ পায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ব্যালেন্স শিটে কত ক্ষতি
পাঁচ বছরের হিসেবে বিসিসিআই-কে প্রতি মরশুমে ৪৪০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা চিনা সংস্থার ভিভোর। এত পরিমাণ টাকা এই মুহূর্তে বিসিসিআই কোনও সংস্থাই দিতে রাজি হচ্ছে না বলে খবর। সেক্ষেত্রে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিবিরের একশো থেকে দেড়শো কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ক্ষতির প্রভাব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির ব্যালেন্স শিটে পড়বে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কী বলছে হিসেব
পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর আইপিএলে ব্যক্তিগত স্পনসরারে থেকে সম্মিলিতভাবে ৫০০ কোটি টাকা রোজগার করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। গেট রেভেনিউয়ের পরিমাণ থাকে ২৫০ কোটি টাকা। করোনা ভাইরাসের জেরে দেশের বাইরে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচগুলি হলে দলগুলির গেট মানি শূন্য পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইপিএলের প্রতি সংস্করণে সর্বাধিক রান করা ভারতীয় তালিকা দেখে নেওয়া যাক