প্রোটিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে নামছে টিম ইন্ডিয়া, কী ভাবছেন সচিন
বাইশ গজে আর নেই তিনি। কিন্তু খেলার প্রতি প্যাশন তাঁর অসামাণ্য। ভারতীয় দলকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টিপস দিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতীয় দল। আর এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন মাস্টারব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। প্রতিপক্ষ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা কতটা মারাত্মক থেকে নতুন বলে কী করবেন ভারতীয় ক্রিকেটার সবই সচিনের মাস্টারস্ট্রোকে উঠে এসেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে আপনি কতটা প্রতিযোগিতামূলক দেশ মনে করেন
আমাদের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়েই মালুম হয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ কতটা শক্তিশালী। প্রথম থেকে ওঁরা দুরন্ত ক্রিকেট খেলতেন। নির্বাসন কাটিয়ে বিশ্বমঞ্চে ফিরে আসার পরই ওঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কতটা শক্তিশালী তাঁরা। প্রস্তুতি ম্যাচেই ওঁরা জাত চিনিয়েছিলেন। ওঁরা বিশ্ব ক্রিকেটের মান অনেকটা উঠিয়ে দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন:'সেই ট্র্যাডিশান সমানে চলেছে'- মরগ্যান থেকে সঞ্জয়ের সরে যাওয়ার ময়দানি কাহিনি ]
ক্যালিস এবং ম্যাকমিলানের মত প্লেয়াররা যেকোনও দলে যোগ দিতে পারে
জ্যাক ক্যালিস ও ম্যাকমিলানের মত প্লেয়ার যে দলে থাকবে তাদেরই বাজিমাত। জ্যাক কালিস যে দলের চতুর্থ পেসার, অন্যদিকে ম্যাকমিলান যে দলের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান তাতেই বোঝা যায় দলের গভীরতা কোন জায়গায়। ওঁরা দলের বেঞ্চমার্ক অনেক উঁচুতে পৌঁছে দিয়েছে। তবে আজকের দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এই ধরণের তারকা নেই। তবে তার মানে এই ন. যে ওরা ভালো দল নয়। লম্বা সময় ধরে ওরা ঘরে ও বিদেশের মাটিতে একইধরণের সাফল্য বজায় রেখেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ সম্পর্কে ভাবনা
খুবই ভালো বোলিং আক্রমণ দক্ষিণ আফ্রিকার। নতুন ও পুরোন দুই বলেই ডেল স্টেইন এখনও দারুণ। রাবাদা-র বোলিংয়ে আমি খেলিনি কিন্তু যেরকম দেখেছি ওর বল একটু ওপরে পিচ করানোর অভ্যাস আছে। পাশাপাশি কি রকম বল করছে সেটা বোঝাও বেশ চাপের। পিচ যদি সিমিং হয় তাহলে ফিলান্ডারও মারাত্মক হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। সিমিং উইকেটেই ওঁরা জোর দেবে তাহলে তা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
ভারতের বড় চ্যালেঞ্জ
ভারতীয় উইকেট যদি পেস বান্ধবও হয় তাহলেও এই উইকেটের সঙ্গে টেক্কা দেওয়া বেশ কঠিন। নতুন বল ১৮ থেকে ২০ ওভার অবধি মারাত্মক থাকে। আর যদি এসজি বল হয় তাহলে ৪০-৫০ ওভার অবধি বিপদজনক থাকতে পারে। যদি উইকেট ফ্ল্যাট হয় তাহলে এই সময় বল রিভার্স সুইং করে। এরপরেও বল সুইং করে কিন্তু সেসময় ভিন্ন গতিতে সুইং করে। উপমহাদেশে-র থেকে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।
নতুন বল খেলার জন্য টিপস
বাইশ গজে যখন নামবেন তখন একটাই মন্ত্র থাকবে নিয়মানুবর্তিতা। নিজের ফুটওয়ার্ক সংযত রাখতে হবে। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিজের মস্তিষ্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। মাথায় অযথা জটিলতা পাকাবেন না। ক্রিকেটের সাধারণ নিয়ম সারল্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। আর মস্তিষ্ক থেকে আসা সিগন্যালের ওপর ভিত্তি করেই ব্যাটসম্যানদের বল খেলা ও ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।