এভাবেও ফিরে আসা যায়! ODIতে ব্রাত্য দ্রাবিড়ের '৯৯ বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন যেন স্বপ্নের সফর
'দ্য ওয়াল' হিসাবে একাধিকবার হারের দোড়গোড়া থেকে স্বপ্নের জয় এনি দিয়েছিলেন তিনি।
'দ্য ওয়াল' হিসাবে একাধিকবার হারের দোড়গোড়া থেকে স্বপ্নের জয় এনি দিয়েছিলেন তিনি। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী জানত , ইনিংসের শুরুতেই সচিন কিম্বা সৌরভের মধ্যে কেউ একজন আউট হয়ে গেলেও ওয়ান ডাউনে দেশ রক্ষায় নামবেন আরও এক ক্রিকেট-ঈশ্বর। যাঁর উইকেট পাওয়া বিপক্ষ বোলারদের কাছে স্বপ্ন ছিল। এমনই একজন ক্রিকেটীয় তারকা হিসাবে ভারতের খেলার ইতিহাসে আজও উজ্জ্বল দ্রাবিড়। তবে তাঁর জীবনের প্রথম বিশ্বকাপের পর্বটিও কম স্বপ্নসুন্দর নয়।
শুরুর কাহিনি
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপেই তিনি ডাক পেতে পারেন এমন সম্ভাবনা ততদিনে তৈরি করে ফেলেছিলেন কন্নড়ভূমের তুখোড় ব্যাটসম্যান রাহুল। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ৯৫ রান তাঁর সম্ভাবনাকে উস্কে দিলেও, পরিস্থিতির ফেরে প্রথমবারের বিশ্বকাপে রাহুল খেলেন ১৯৯৯ সালে।
লড়াইয়ের ইতিহাস
১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যের সময়টা ব্যাপক লড়াই চালাতে হয়েছে রাহুলকে। ১৯৯৮ সালের ওয়ানডে-র সময় গোটা বছরে রাহুলের মাত্র একটি ৫০ রানের ইনিংস কার্যত তাঁকে ছিটকে দিয়েছিল বিশ্বকাপের স্বপ্ন থেকে। তবে লড়াইয়ের জমি ছাড়েননি দ্রাবিড়। ১৯৯৮ এর হতাশজনক পারফরম্যান্সের পরও শট আর ড্রিলের ওপর আরও ফোকাস করতে থাকেন কন্নড়ভূমের মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
এভাবেও ফিরে আসা যায়
এরপর ফের একবার সুযোগ এসেছিল। সেটা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ঠিক আগের সময়টায়। যখন জাতীয় দলে প্রয়োজন ছিল ৩ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে কোনও পোক্ত খেলওয়াড়। আর সেখানেই বাজিমাত করে দেন রাহুল। নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর পর পর সেঞ্চুরি, রাহুলকে বিশ্বকাপের টিকিট ধরিয়ে দেয়। এরপর আর পিরে তাকাতে হয়নি 'দ্য ওয়াল'কে।
১৯৯৯ এর সর্বোচ্চ স্কোরার
১৯৯৯ বিশ্বকাপের শুরুতেই খুব খারাপভাবে শুরু করেছিল ভারত। তবে রাহুলের তখন স্বপ্নের দৌড় শুরু। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫৪ রানের ঝকঝকে ইনিংসের পর কেনিয়া, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও দাপটে তাঁর রানের দৌড় এগিয়ে যেতে থাকে। বিশ্ব ক্রিকেটকে তিনি বুঝিয়ে দেন,বিশ্বকাপের একবছর আগেও যিনি একদিনের ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি ফিরে এসে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান স্কোরারের তকমা নিয়ে যেতে পারেন। আর এখানেই তিনি 'মিস্টার ডিপেন্ডেবল'!