বিপদ ঘটলে ক্রিকেটার হওয়া হত না বিরাটের! সুনীলের সঙ্গে আড্ডায় প্রাণে বাঁচার কাহিনি শোনালেন কোহলি
বিপদ ঘটলে আর হয়ত ক্রিকেটার হওয়া হত না বিরাটের! সুনীলের সঙ্গে আড্ডায় প্রাণে বাঁচার কাহিনি শোনালেন
করোনার কারণে গৃহবন্দি হয়ে লাইভে মুখোমুখি দুই অধিনায়ক। রবিবার সন্ধ্যেতে দেশের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলির সাক্ষাৎকার নিলেন ফুটবল অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ইনস্টাগ্রাম লাইভের আড্ডায় ছোটবেলার দুষ্টুমির কাহানি শোনালেন বিরাট।
ছাদ থেকে পড়ে যেতে পারতেন বিরাট!
বিপদ ঘটলে আর হয়ত ক্রিকেটার হওয়া হত না বিরাটের! ছেলেবেলার দুষ্টুমির কাণ্ডকারখানা শুনিয়ে এমনটাই বলেন বিরাট কোহলি।
ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে বিরাটের দুষ্টুমি
ইনস্টাগ্রাম লাইভে সুনীল ছেত্রীর মুখোমুখি হয়ে বিরাট বলেছেন, 'ছোটবেলার দিল্লিতে যেখানে থাকতাম, ঐ পাড়ায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা হত। আমাদের মহল্লায় আমিও ঘুড়ি ওড়াতাম। ১৩ অগাস্ট দিনটা আমার মনে গেঁথে রয়েছে। ঐ দিন ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।'
ছোটবেলার স্মৃতিচারণায় বিরাট
আড্ডায় বিরাট বলেন, ' বড়রা সাধারণত আমাকে লাটাই হাতে দাঁড় করিয়ে দিত। নইলে ঘুড়ি কেটে পড়লে সেটা ছুটে গিয়ে নিয়ে আসতে হত। দিল্লিতে কলোনির বাড়িগুলোর ছাদের একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক বাড়ির সঙ্গে অন্য বাড়ির ছাদ জোড়া। যারা দিল্লিতে থেকেছেন তারা জানেন। তিন-চারটে বাড়ির ছাদ জুড়ে থাকার পর কিছুটা খালি জায়গা পাবেন। চাইলে একসঙ্গে তিন-চারটে বাড়ির ছাদ টপকে আপনি ছুটতে পারেন। ১৩ অগাস্ট ঐ দিন সবাই মিলে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘুড়ি কেটে পড়ছে দেখে আমি ছুটতে শুরু করি।'
বন্ধুর জন্যে প্রাণে বেঁচে যান বিরাট
এরপর বিরাট জুড়েছেন, 'ঘুড়ির দিকে তাকিয়েই ছুটছিলাম। নিচের দিকটা আর খেয়াল করনি। একেবারে ছাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েও খেয়াল করিনি। আমার বন্ধু পীযূষ খেয়াল করেছিল। বন্ধুই শেষপর্যন্ত চিৎকার করে আমায় প্রাণে বাঁচায়। ছাদ থেকে পড়লে সেদিন কী হত ভাবতেই ঘুম উড়ে যায়!'
একমাত্র এই শর্তেই নিজের বায়োপিকে অভিনয় করবেন বিরাট! সুনীলকে দিলেন কোন উত্তর