ঘরের মাঠে পাল্লা ভারী ইংল্যান্ডের, তবে 'আনপ্রেডিক্টেবল' পাকিস্তান চমকে দিতে তৈরি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড দলের প্রতিপক্ষ সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগের সবকটি ম্যাচে জিতে ফেভারিট হিসাবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইংল্যান্ড। এবারে ঘরের মাঠে এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড হট ফেভারিট। সেমিফাইনালে ইয়ন মর্গ্যানের দলের প্রতিপক্ষ সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান।
কার্ডিফের এই ম্যাচে ধারে ভারে ইংল্যান্ড অনেক এগিয়ে। তবে যেভাবে শ্রীলঙ্কাকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠেছে তাতে 'আনপ্রেডিক্টেবল' পাকিস্তানকে কোনওভাবেই হিসাবের বাইরে রাখা যায় না।
ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় বোলাররা সাহায্য পায়। আর পাকিস্তানের পেস বোলিং বরাবরই সমীহ জাগানোর মতো। জুনেইদ খান, মহম্মদ আমির, ফাহিম আশরফ, হাসান আলিরা পিচের সামান্য সাহায্য পেলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। স্পিন বোলিংয়ে একমাত্র ভরসা ইমাদ ওয়াসিম। তবে পাক বোলিংয়ের ভরসা মূলত মহম্মদ আমির ও হাসান আলিই।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পাকিস্তান বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করে। জুনেইদ খান, মহম্মদ আমিররা নিজেদের প্রমাণ করে লঙ্কাবাহিনীকে আড়াইশোর কম রানে বেঁধে রাখেন। এবারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে পারলে ১৯৯৯ সালের পর ফের একবার কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠবে পাকিস্তান।
সেবছর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল ওয়াসিম আক্রমের দল। তবে বরাবরের মতো এবারও পাকিস্তান বোলিং যতটা ভালো, ঠিক ততটাই নড়বড়ে ব্যাটিং। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও ম্যাচ প্রায় হারতে বসেছিল পাকিস্তান। তবে রুখে দাঁড়ান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। একার হাতে দলকে জিতিয়ে সেমিফাইনালে তোলেন।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড প্রথম থেকেই ছন্দে রয়েছে। গ্রুপ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে ইয়ন মর্গ্যানের দল। জেসন রয় বাদে অ্যালেক্স হেলস, জো রুট, ইয়ন মর্গ্যান, বেন স্টোকস, জস বাটলার সকলেই ফর্মে রয়েছেন। জেসন রয়ের জায়গায় দলে আসতে পারেন জনি বেয়ারস্টো।
বোলিং বিভাগেও ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সমীহ করার মতো দল। লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট, মার্ক উড, বেন স্টোকসের পাশাপাশি স্পিন বোলিংয়ে আদিল রশিদ ও মঈন আলি ভালো খেলছেন। তাছাড়া আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার নিরিখে ৬-৪ এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। শেষবার ১৯৯৬ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ফলে সবমিলিয়ে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের পাল্লা ভারী।