নক আউটে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া, হেরে পথ কঠিন করে ফেলল ইংল্যান্ড
সবই ঠিকঠাক চলছিল। তবে গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারের পর থেকেই মনোবল যেন তলানিতে ইংল্যান্ড শিবিরের। আর তার ধাক্কাই যেন লাগল অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে।
সবই ঠিকঠাক চলছিল। তবে গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারের পর থেকেই মনোবল যেন তলানিতে ইংল্যান্ড শিবিরের। আর তার ধাক্কাই যেন লাগল অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬৪ রানে ম্যাচ হেরে নকআউটে ওঠা কিছুটা হলেও কঠিন করে ফেলল ইংল্যান্ড। আর এই বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিল অস্ট্রেলিয়া।
এদিন লর্ডসের মাঠে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। তবে ইংল্যান্ড বোলিংকে ভোঁতা করে দিয়ে অনবদ্য শুরু করেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। ওয়ার্নার ৫৩ রান করে ফিরে গেলেও অধিনায়ক ফিঞ্চ ফের একটা অনবদ্য শতরান করেন। তিনি ১০০ রানে ফিরে গেলে মিডল অর্ডারে কেউ সেভাবে বড় রান করতে পারেননি।
উসমান খোয়াজা ২৩, স্টিভ স্মিথ ৩৮ রান করে আউট হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১২ ও মার্কাস স্টইনিস ৮ রান করে ফেরেন।শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারি ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এবং দলকে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানে পৌঁছে দেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড শুরু থেকেই হোঁচট খেতে থাকে। ওপেনার জেমস ভিন্স শূন্য রানে আউট হন। জনি বেয়ারস্টো করেন ২৭ রান। তবে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে জো রুটের ৮ রানে আউট হওয়া। অধিনায়ক মর্গ্যান করেন মাত্র ৪ রান।
লোয়ার মিডল অর্ডারে বেন স্টোকস ৮৯ রান করলেও অন্য দিকে কেউ তাঁকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। জজ বাটলার ২৫ ও ক্রিস ওকস ২৬ রান করেন। অস্ট্রেলিয়া নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ইংল্যান্ডকে রান তাড়া করতে দেয়নি। বোলিং ওপেন করা দুই পেস বোলার জেসন বেহরনডর্ফ পাঁচটি উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক নেন চারটি উইকেট। এছাড়া মার্কাস স্টইনিস একটি উইকেট নেন। সব মিলিয়ে ৪৪.৪ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।