আফগানিস্তানকে ১৫০ রানের ব্যবধানে হারাল ইংল্যান্ড
দুর্বল আফগানিস্তানকে ১৫০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এল ইংল্যান্ড।
দুর্বল আফগানিস্তানকে ১৫০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এল ইংল্যান্ড। টসে জিতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথমে ব্যাট করে ইয়ন মর্গ্যানের দল ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান লড়াই করলেও শেষ অবধি ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৭ রানে থামে।
ইংল্যান্ড এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেছিল। জেসন রয়ের পরিবর্তে খেলতে নামা জেমস ভিন্স ও জনি বেয়ারস্টো সাবলীলভাবেই শুরু করেন। ভিন্স ৩২ রানে ফিরে যাওয়ার পর তিন নম্বরে নামা জো রুট ফের একবার অনবদ্য ইনিংস খেলেন। বেয়ারস্টো ৯০ ও রুট ৮৮ রান করেন। শতরানের কাছাকাছি এলেও দুজনের কেউই শতরান পাননি।
তবে চার নম্বরে নামা অধিনায়ক মর্গ্যান সমস্ত লাইমলাইটে শুষে নেন। মাত্র ৭১ বলে তিনি করেন ১৪৮ রান। শুধু তাই নয়, ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৭১ বলের ইনিংসে। এর আগে এক ইনিংসে কোনও ব্যাটসম্যান এতগুলি ছক্কা হতে পারেননি। এটা একটা বিশ্বরেকর্ড।
একেবারে শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে মঈন আলি মাত্র ৯ বলে ৩১ রান করেন। সব মিলিয়ে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান তোলে ইংল্যান্ড। এত রান তাড়া করা কোনও বড় দলের পক্ষেই অত্যন্ত কঠিন কাজ। সেখানে আফগানিস্থান সবে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। তা সত্ত্বেও অলআউট না হয়ে তাঁরা ভালো প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
ওপেন করতে নেমে গুলবদিন নায়িব ৩৭ রান করে যান। এছাড়া রহমত শাহ ৪৬ ও হসমতউল্লাহ শাহিদি ৭৬ রান করেন। স্টানিকজাই ৪৪ রান করেন।
এদিন আফগানিস্তান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯ ওভারে ১১০ রান দেন রশিদ খান। তিনি এক কলঙ্কের রেকর্ড করলেন একদিনের ক্রিকেটে। এছাড়াও সব আফগান বোলাররাই এদিন ইংরেজদের ব্যাটসম্যানদের কাছে ঠ্যাঙানি খেয়েছেন। একমাত্র মুজিবুর রহমান ১০ ওভারে মাত্র ৪৪ রান দেন। যদিও তিনি কোনও উইকেট পাননি। এদিন হারের ফলে আফগানিস্তান লিগ তালিকায় সবার শেষেই রইল।