বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড: ইতিহাসের হাতছানি বনাম আন্ডারডগ দুর্নাম ঘোচানোর লড়াই
রবিবার মেগা ম্যাচ। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড।
রবিবার মেগা ম্যাচ। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড।
শেষবার ২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে অজিদের কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে বরাবরই আন্ডারডগ ধরা হয় তাঁদের, বলা হয় নিউজিল্যান্ড নাকি চোকার্স। সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে গিয়ে কিউয়িদের নাকি নার্ভ ফেল করে!
রবিবার ঠান্ডা মাথায় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতে মাঠ ছাড়লে সেই দুর্নামই ঘোচাতে পারবে কিউয়িরা। অন্যদিকে ১৯৯২ এর পর ২৭ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড। মর্গ্যানদের সামনে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ।
ম্যাচ কোথায়
ঐতিহাসিক লর্ডসে ফাইনাল ম্যাচ, ভারতীয় সময়ে খেলা শুরু দুপুর তিটেয়।
অতীত ভুলে, ইংল্য়ান্ডের কাছে ইতিহাস লেখার ম্যাচ
ফাইনালের আগে ইংল্যান্ডকে ভাবাচ্ছে তাঁদের পুরনো পরিসংখ্যান। বিশ্বকাপ ফাইনালে বরাবরই ফেল করে ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালে ফাইনালে উঠেও বিশ্বকাপ হাতছাড়া করেছে থ্রি-লায়ন্স। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে চতুর্থ ফাইনাল খেলতে নেমে ইংরেজরা ইতিহাস লিখতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
বিশ্বকাপ প্রত্যবর্তনে চমক দিয়েছে ইংল্যান্ড
শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে এক সময়ে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যেতে চলেছিল ব্রিটিশরা। সেখানেই ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিগের শেষ দুই ম্যাচ জিতে নকআউটে ঢুকে পড়া। সেখান থেকে অজিদের বিরুদ্ধে ব্য়াটে-বলে দুরন্ত ক্রিকেট খেলে বিশ্বকাপে ফাইনালে ইংল্যান্ড। হার না মানা জেদে ভর করেই বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন থ্রি-লায়ন্সের।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বনাম কিউয়ি বোলিং
ব্যাটে এই বিশ্বকাপে সেরাটা খেলেছে ইংল্যান্ড, আর বলে নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপে ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের মিলিতভাবে ৭টি সেঞ্চুরি রয়েছে। জো রুটের ২টি, বেয়ারস্টোর ২টি ও মর্গ্যান, রয় ও বাটলার ১টি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সেখানেই কিউয়ি ব্যাটিংয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি।
অন্যদিকে বল হাতে কিউয়ি পেসাররা আগুন ঝরাচ্ছেন। লকি ফার্গুসন ১৮ উইকেট, ট্রেন্ট বোল্ট ১৭ ,ম্যাট হেনরির শিকার-১৩ , জেমস নিশাম- ১২টি উইকেট পেয়েছেন। সেই সঙ্গে আর একটি পরিসংখ্যান। চলতি বিশ্বকাপে ৪ বার প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে কিউয়িরা।
এই পরিসংখ্য়ানগুলোই বলে দিচ্ছে ফাইনালের লড়াই, ব্যাটে ইংল্যান্ড আর বল নিউজিল্যান্ড কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।